আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
হুজুরদের কাছ থেকে শুনে এসেছি বিয়ের জন্য মজলিস এক হওয়া অপরিহার্য এ কারণে মেসেনঞ্জার এ বা ভিডিও কল এ বয়ে হয়না।। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে মজলিস এক হওয়া লাগবে এটা কি হাদিস এর কথা যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা কোথায় একটু বিস্তারিত  বলবেন?

আর আমি মেসেঞ্জার এ গ্রুপ খুলে ২ জন সাক্ষি এড করে ইজব কবুল করি মহর ও ধার্য করা হয়েছিলো বিয়ে টি হয়েছিলো?
২ টি প্রশ্নের উত্তর বলবেন একটু।।।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মজলিস এক হওয়া সংক্রান্ত ছরীহ (স্পষ্ট )  হাদীস খুজে পাইনি।

তবে বেশিরভাগ ইসলামী স্কলারদের মতে ইজাব কবুল সহীহ হওয়ার জন্য মজলিস এক হওয়া শর্ত।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلُهُ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ هَكَذَا رَوَى أَصْحَابُ قَتَادَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ . وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ نَحْوَ هَذَا مَوْقُوفًا . وَفِي هَذَا الْبَابِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ قَالُوا لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِشُهُودٍ . لَمْ يَخْتَلِفُوا فِي ذَلِكَ مَنْ مَضَى مِنْهُمْ إِلاَّ قَوْمًا مِنَ الْمُتَأَخِّرِينَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَإِنَّمَا اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا إِذَا شَهِدَ وَاحِدٌ بَعْدَ وَاحِدٍ فَقَالَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ لاَ يَجُوزُ النِّكَاحُ حَتَّى يَشْهَدَ الشَّاهِدَانِ مَعًا عِنْدَ عُقْدَةِ النِّكَاحِ . وَقَدْ رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ إِذَا أُشْهِدَ وَاحِدٌ بَعْدَ وَاحِدٍ فَإِنَّهُ جَائِزٌ إِذَا أَعْلَنُوا ذَلِكَ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَغَيْرِهِ . هَكَذَا قَالَ إِسْحَاقُ فِيمَا حَكَى عَنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ يَجُوزُ شَهَادَةُ رَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ فِي النِّكَاحِ . وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ

ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও মাওকূপরূপে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই বিষয়ে ইমরান ইবনু হুসায়ন, আনাস, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। সাহাবী এবং তাঁদের পরবর্তী যুগের তাবিঈ ও অন্যান্য আলিমগণের আমল এই হাদীস অনুসারে রয়েছে। তাঁরা বলেন, সাক্ষী ছাড়া বিবাহ হয় না।

আমাদের জানা মতে পূর্ববর্তী আলিমগণের মাঝে এই বিষয়ে কোন মতবিরোধ নেই। তবে পরবর্তী যুগের কিছু সংখ্যক আলিম মতবিরোধ করেছেন। এই আলিমগণের মতবিরোধ হলো এক জনের পর আরেক জন সাক্ষী হওয়ার ব্যপারে। অধিকাংশ কূফাবাসী ও অপরাপর আলিম বলেন বিবাহের আকদের সময় একসঙ্গে দুই জন সাক্ষী না হলে বিবাহ জায়েজ হবে না। মদীনাবাসী কতক আলিমের মতে এক সঙ্গে না হয়, একজনের পর একজন সাক্ষী হলেও তা জায়েজ হবে। যদি তারা এর ঘোষণা করে। এ হলো ইমাম মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)-এর অভিমত। মদীনাবাসীদের বর্ণনানুসারে ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ)-এর বক্তব্যও অনুরূপ। কতক আলিম বলেন, একজন পুরূষ ও দুইজন মহিলার সাক্ষেও বিবাহ জায়েজ আছে। এ হলো ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত।
(তিরমিজি ১১০৪)

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

في "كشاف القناع" (5/41) : "وإن تراخى القبول عن الإيجاب صح ما داما في المجلس ولم يتشاغلا بما يقطعه عرفا ولو طال الفصل ؛ وإن تفرقا قبل القبول بعد الإيجاب بطل الإيجاب وكذا إن تشاغلا بما يقطعه عرفا ؛ لأن ذلك إعراض عنه أشبه ما لو رده
সারমর্মঃ
যদি কবুল করতে দেড়ি করে,তাহলে যতক্ষন পর্যন্ত তারক উভয়ে মজলিসে থাকবে,এবং প্রস্তাব ভেঙ্গে দেয় এমন কোনো কাজে যদি লিপ্ত না হয়,তাহলে সহীহ আছে।
যদি তারা উভয়ে পৃথক হয়ে যায়,কবুলের পূর্বই,অথবা  প্রস্তাব ভেঙ্গে দেয় এমন কোনো কাজে যদি লিপ্ত হয়,তাহলে প্রস্তাব বাতিল হয়ে যাবে।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহ সহীহ হবেনা।  

বিস্তারিত জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...