ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
উক্ত পদ্ধতিতে মিস্ট্রি বক্স
কেনা দুই কারণে নিষিদ্ধ। কারণ
১. শরিয়তের
নিষিদ্ধ جهالة ( অজ্ঞতা )- এর
উপস্থিতি৷ এখানে ১১ টাকা দিয়ে কোন জিনিসটা ক্রয় করা হয়েছে তা জানা থাকে না। ফলে
ক্রেতার পাওনার পরিমাণটা অজ্ঞাত থেকে যায়৷ আর লেনদেনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় হলো ان تكون العاقبة
معلومة অর্থাৎ পরিণামটা জ্ঞাত
হওয়া৷ আর যে লেনদেনে অজ্ঞতা রয়েছে তা শরীয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ৷ যেমন ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে-
...فبيع
المجهول جهالة تفضي إليها غير صحيح.
"অতএব অস্পষ্ট বিষয় যাতে
বিতর্কের সম্ভাবনা রয়েছে, তার লেনদেন
চুক্তি অবৈধ৷"
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ৩/২)
২. শরীয়তের
নিষিদ্ধ غرر (গারার)- এর উপস্থিতি৷
হাদীস শরীফে
এসেছেنهي عن بيع الغرر অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সকল লেনদেনে সব ধরনের غرر কে নিষিদ্ধ করেছেন৷( সহীহ
মুসলিম:২/২)
ইমাম সারাখসী রহ.
غرر এর সংজ্ঞা এভাবে দিয়েছেন যে,
ما يكون مستور العقبة.
অর্থাৎ যার
পরিণাম অস্পষ্ট তা-ই গারার৷(আল মাবসূত:১২/১৯৪)
শাইখুল ইসলাম
ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন-
الغرر هو مجهول العاقبة، فإن بيعه من الميسر
الذي هو القمار.
"গারার হচ্ছে ঐ কারবার যার
পরিণাম অনিশ্চিত৷ কারণ এর দ্বারা সেটা
ميسر (মাইসির) এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় যা জুয়ারই
অপর নাম৷"
(মাজআতুল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া:২৯/২২)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত পদ্ধতিতে মিস্ট্রি বক্স কেনা জায়েজ হবে না।