আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
edited by
আজ সন্ধ্যার সময় আমি আমার কপালৈর কিছু ব্রন ফাটিয়ে দেই এবং টিসু দিয়ে রক্ত ও পুজ মুছে ফেলি। কিন্তু রক্ত বের হতেই থাকে। তারপর আমি পানি দ্বারা মুখমণ্ডল ধুই এবং নিজের গায়ের জামা দিয়েই মুখ মুছি।(আমি অনেক ঘেরওয়ালা গোল  জামা পরিধান করি )।
১।মুছার সাথে সাথেই  আয়নায় গিয়ে দেখি আমার মুখমণ্ডলে এখনঽও সামান্য রক্ত। কিন্তু আমার জামায় রক্ত লেগেছে কিনা জানিনা। জামায় কোনো চিন্হ নেই। যদিও লাগে তা এক দিরহামের চেয়ে অনেক কম। তাই জামা বদলাই নি।

২।গতকাল একটি স্ট্যান্ড ওঠানোর সময় আমার হাত কেটে যায় । কিন্তু যখন হাত কেটে গিয়েছিল তখন আমি তা বুঝতে পারিনি। বেশ কিছুক্ষণ পর দেখি আঙ্গুলে রক্ত এক দিরহামের চেয়ে কম। এক দিরহামের অর্ধেক হতে পারে। কিন্তু আমি জানিনা স্ট্যান্ডে রক্ত লেগেছে কিনা। আজকে আমাকে মা সেই স্ট্যান্ড ধূইতে দেয়। আমার তখন এই বিষয়টা মনে ছিল না। স্ট্যান্ড ধুতে ধুতে এ কথা মনে পড়ে। কিন্তু ততক্ষণে ভেজা স্ট্যান্ড অনেক জায়গায় রাখা হয়েছে । অনেকবার সপর্শ করা হয়েছে। ভেজা স্ট্যান্ড গায়ে স্পর্শ করেছি।

আমার সন্দেহের রোগ আছে। আমি খুব খুঁতখুঁতে । এখন একে তো সন্ধ্যায় রক্ত লাগল কিনা তাও জানিনা । আবার রাতে স্ট্যান্ডের নাপাকী শরীরে লাগল কিনা এই নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে ।

আমি জানি এক দিরহামের চেয়ে কম নাপাক একবার লাগলে মাফ আছে। কিন্তু ঐ একই কাপড়ে বা একই শরীরে লাগলে দুইবার লাগলে মাফ নেই। এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে । দুই জায়গাতেই কী রক্ত লাগল নাকি।

উল্লেখ্য স্ট্যান্ড দিয়ে আমার  হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলের পিঠে কেটে যায় । সাথে সাথে রক্ত বের হইছে কিনা জানি না । খুব বেশি কাটেনি । নখ দিয়ে আচর দিলে যেমন হয় । কিন্তু আমি যখন রক্ত দেখেছি। তারপর হাত অনেকক্ষণ ধরে ধোয়ার পরেও আঙ্গুলের পিঠ থেকে হালকা লাল পানি বের হচ্ছিল । জানিনা স্ট্যান্ডে রক্ত লেগেছে কিনা । লাগতেও পারে। নাও লাগতে পারে । এখন খুব চিন্তা হচ্ছে ।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে সন্দেহ দ্বারা পবিত্রতায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।আপনি বা আপনার কাপড় নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 156 views
0 votes
1 answer 140 views
...