আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম,


১. পু্ত্র সন্তান বিহীন কন্যা সন্তানের বাবা মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব কার হতে পারে? বিশেষ করে বাবা মা চায় যে তার মেয়ে চাকরি করে বাবা মার দিকে খেয়াল রাখুক। বিয়ের পর এবং বাবার উপার্জন অক্ষমতার সময়।


২. নামাযরত অবস্থায় সুতরা ছাড়া কতটুকু সামনে দিয়ে যাওয়া যায়?


৩. আমি আমার চারপাশে বউ-শ্বাশুড়ি রিলেটেড অনেক ঘটনা দেখি। কখনো দেখি যে, ভালো পরিবারে বিয়ে হওয়ার পরও, ভালো শ্বশুর শাশুড়ি পেয়েও অনেকে নিজের স্বার্থের জন্য/ স্বামীর টাকায় শ্বশুর শাশুড়ি কাউকে ভাগ না দেবার জন্য আলাদা হয়ে যায়। শ্বশুর শাশুড়িকে কষ্ট দেয়।

আবার কখনো দেখি যে, ভালো মেয়েকে বউ হিসেবে পেয়েও শ্বশুর শাশুড়ি বউকে অত্যাচার করে, মানসিক নির্যাতন করে। সহ্য করতে পারে না, ছেলের টাকা বউয়ের হাতে দিতে দেয় না।

ইত্যাদি ইত্যাদি...

আমি জানতে চাই যে, এ ধরনের পারিবারিক অশান্তি ঘটনায় যে দায়ী থাকে, বউ/ শাশুড়ি, তাদের প্রতি ইসলামের বিধান কি??
এমন কোনো ইসলামী কথা, যেটা দিয়ে আমি তাদেরকে (অত্যাচারী বউ/ অত্যাচারী শাশুড়ি) বোঝাতে পারবো।

জাজাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, এমতাবস্থায় মেয়ে পর্দার সাথে চাকুরী করতে পারবে।

(২)
বড় মসজিদ যেখানে ৪০ জনের সংকুলান হবে, সেই মসজিদে দুই সফ সামন দিয়ে যাওয়া যাবে।

(৩)
https://www.ifatwa.info/430 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
শশুর-শাশুড়ীর খেদমত করতে যে সব স্বামীরা স্ত্রীর উপর আমানবিক নির্যাতন করে,তাদের জেনে রাখা উচিত -একেতো তাদের খেদমত স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়!দ্বিতীয়ত শশুরের খেদমতে ফিতনার আশংকা আছে! তাই স্বামী নিজে আপন মাতা-পিতার খেদমত করবে অথবা পারিশ্রমিক দিয়ে করাবে।
স্ব ইচ্ছায় শাশুড়ীর খেদমত করা বধুর নৈতিক দায়িত্ব ,কিন্তু এক্ষেত্রে বধুর উপর কোন রকম চাপ প্রয়োগ করা যাবেনা,এবং বধুর খেদমতকে অনুগ্রহ বিবেচনা করাও শ্বাশুড়ীর নৈতিক দায়িত্ব।

মোটকথাঃ-
এককপরিবার ব্যবস্থা-ই ইসলামের মৌলিক ও মূল বিধান,তবে যৌথপরিবার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে নাজায়েযও বলা যাবে না।
আমাদের দেশে যেহেতু পূর্ব থেকেই  যৌথপরিবার ব্যবস্থা চলে আসছে, এবং এককপরিবার ব্যবস্থাকে মা-বাবা সহ অনেকেই মেনে নিতে পারেন না।এমনকি অনেকে এককপরিবার ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করেন ও নিন্দা মনে করেন,তাই যৌথপরিবার ব্যবস্থাকে আমারা একেবারে বিসর্জন দিতে পারছিনা। তবে যৌথপরিবারে  যাতে শরীয়তের কোনো বিধি-বিধান লঙ্ঘন না হয়, সেদিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি অত্যান্ত গুরুত্বতার সাথে রাখতে হবে, আল্লাহ না করুক যদি কোনো অঘটন ঘটে যায়,সেক্ষেত্রে সমস্ত দায়-দায়িত্ব কিন্তু আপনার-ই থাকবে।
যখন আমাদের সমাজ এককপরিবার ব্যবস্থাকে মেনে নিবে তখন সেটাই একমাত্র মঙ্গলজনক ও নিরাপদ পরিবার ব্যবস্থা হবে।(শেষ)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...