ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/431 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযে ক্রন্দনের সবব বা কারণ যদি শারিরিক কষ্ট বা কোনো বিপদাপদ হয় তাহলে এর দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন সেটাকে মানুষের কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর যদি ক্রন্দনের সবব জান্নাত-জাহান্নমের আলোচনা হয়, তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না। কেননা তা মানুষের কথা হিসেবে বিবেচ্য হবে না বরং তা বেশী তাকওয়া ও ভয়ের উপর প্রমাণ করবে। এবং এটাই নামাযের আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং তা তাসবীহাতের অন্তর্ভূত থাকবে। যেমন নবীজী সাঃ থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রাত্রে নামায পড়তেন,তখন উনার গলার স্বর ক্রন্দনের ধরুণ চিরুনির আওয়াজ মনে হত। ইমাম আবু ইউসুফ রাহ বলেনঃ যখন ক্রন্দনের আওয়াজ দুই হরফের অধিক অথবা মূল দুই হরফ হবে তখন এই হুকুম প্রযোয্য অর্থ্যাৎ উপরোক্ত ব্যখ্যা অনুযায়ী হুকুম প্রযোয্য। কিন্তু যদি দু'টিই অতিরিক্ত অক্ষর বা একটি মূল ও অন্যটি অতিরিক্ত হয়,তাহলে উভয় অবস্থায়(কষ্টের কারণে হোক বা জান্নত-জাহান্নামের ভয়ে হোক) নামায ফাসিদ হবে না।হরফে যিয়াদত বা অতিরিক্ত অক্ষরসমূহ মোট দশটি।যেমনঃ- َ:
ء، م، ا، ن، و، ت، س، ه، ي، ل
(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়,৮/১৭১)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কোন ব্যক্তি ফরজ সালাতের সময় পায়ের রগে টান লাগায় ভুলবশত যদি "ও মা" শব্দ আস্তে বলে ফেলে,তাহলে উনার সালাত ফাসিদ হয়ে যাবে।
(২)
উক্ত নামাযকে আবার পড়ে নিতে হবে।
(৩)
যেকোনো কালারের বোরখা পরিধান জায়েয।তবে যাতে আকর্ষিত না হয়, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।
(৪)
জ্বী,কোন নারী যদি বাসায় না-মাহরামদের সামনে পর্দা করতে চান, তাহলে উনি স্বাভাবিক প্রিন্টের সালওয়ার কামিজের উপর নিকাব বা বড় ওড়না পড়ে পর্দা করতে পারবেন।
(৫)
যদি ফিতনার অাশংকা না থাকে, এবং মহিলা পঞ্চাশোর্ধ হন, তাহলে তিনি মুখ প্রয়োজনে মুখ খোলা রাখতে পারবেন।