আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
251 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)
আস্সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

১. কোন ব্যক্তি ফরজ সালাতের সময় পায়ের রগে টান লাগায় ভুলবশত যদি "ও মা" শব্দ আস্তে বলে ফেলেন, উনার সালাত ভঙ্গ হয়ে যাবে?

২. উল্লিখিত ফরজ সালাত আবার পড়ে নিতে হবে?

৩. কোন নারীর জন্য আর্মি প্রিন্ট বা কোন ফ্লোরাল প্রিন্টের বোরখা পড়া যায়েজ হবে?

৪. কোন নারী যদি বাসায় না-মাহরামদের সামনে পর্দা করতে চান, উনি কি স্বাভাবিক প্রিন্টের সালওয়ার কামিজের উপর নিকাব বা বড় ওড়না পড়ে পর্দা করতে পারবেন?

৫. যে নারীরা মুখ খোলা রাখার মত সমর্থন করেন, উনারা কি মুখে নাকফুল পরিধান করে মুখ খোলা রাখতে পারবেন? উল্লিখিত মহিলা পঞ্চাশোর্ধ বয়সের যদি হোন এবং নিকাব পড়লে যদি উনি অস্বস্তিবোধ করেন৷

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/431 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযে ক্রন্দনের সবব বা কারণ যদি শারিরিক কষ্ট বা কোনো বিপদাপদ হয় তাহলে এর দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা তখন সেটাকে মানুষের কথা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আর যদি ক্রন্দনের সবব জান্নাত-জাহান্নমের আলোচনা হয়, তাহলে এদ্বারা নামায ফাসিদ হবে না। কেননা তা মানুষের কথা হিসেবে বিবেচ্য হবে না বরং তা বেশী তাকওয়া ও ভয়ের উপর প্রমাণ করবে। এবং এটাই নামাযের আসল উদ্দেশ্য। সুতরাং তা তাসবীহাতের অন্তর্ভূত থাকবে। যেমন নবীজী সাঃ থেকে বর্ণিত আছে, তিনি রাত্রে নামায পড়তেন,তখন উনার গলার স্বর ক্রন্দনের ধরুণ চিরুনির আওয়াজ মনে হত। ইমাম আবু ইউসুফ রাহ বলেনঃ যখন ক্রন্দনের আওয়াজ দুই হরফের অধিক অথবা মূল দুই হরফ হবে তখন এই হুকুম প্রযোয্য অর্থ্যাৎ উপরোক্ত ব্যখ্যা অনুযায়ী হুকুম প্রযোয্য। কিন্তু যদি  দু'টিই অতিরিক্ত অক্ষর বা একটি মূল ও অন্যটি অতিরিক্ত হয়,তাহলে উভয় অবস্থায়(কষ্টের কারণে হোক বা জান্নত-জাহান্নামের ভয়ে হোক) নামায ফাসিদ হবে না।হরফে যিয়াদত বা অতিরিক্ত অক্ষরসমূহ মোট দশটি।যেমনঃ- َ:
ء، م، ا، ن، و، ت، س، ه، ي، ل
(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়,৮/১৭১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কোন ব্যক্তি ফরজ সালাতের সময় পায়ের রগে টান লাগায় ভুলবশত যদি "ও মা" শব্দ আস্তে বলে ফেলে,তাহলে  উনার সালাত ফাসিদ হয়ে যাবে।

(২)
উক্ত নামাযকে আবার পড়ে নিতে হবে।

(৩)
যেকোনো কালারের বোরখা পরিধান জায়েয।তবে যাতে আকর্ষিত না হয়, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।

(৪)
জ্বী,কোন নারী যদি বাসায় না-মাহরামদের সামনে পর্দা করতে চান, তাহলে উনি স্বাভাবিক প্রিন্টের সালওয়ার কামিজের উপর নিকাব বা বড় ওড়না পড়ে পর্দা করতে পারবেন।

(৫)
যদি ফিতনার অাশংকা না থাকে, এবং মহিলা পঞ্চাশোর্ধ হন, তাহলে তিনি মুখ প্রয়োজনে মুখ খোলা রাখতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 214 views
...