বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/19877 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﻟَﺎْ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺠَﻬْﺮَ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﻇُﻠِﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴْﻌًﺎ ﻋَﻠِﻴْﻤًﺎ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 148/ .
আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। ( সূরা নিসা-১৪৮)
ইবনে ক্বাসির রাহ তার তদীয় তাফসীর গ্রন্থের১/৫৭২পৃষ্টায় উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ
" ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱٍ ﻓﻲ ﺍﻵﻳﺔ : ﻳﻘﻮﻝ : ﻻ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﺃﺣﺪٌ ﻋﻠﻰ ﺃﺣﺪٍ ، ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻣﻈﻠﻮﻣًﺎ ، ﻓﺈﻧّﻪ ﻗﺪ ﺃﺭﺧﺺ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﻣﻦ ﻇﻠﻤﻪ ، ﻭﺫﻟﻚ ﻗﻮﻟﻪ : ( ﺇِﻟّﺎ ﻣَﻦ ﻇُﻠِﻢَ ) ، ﻭﺇﻥ ﺻﺒﺮ ﻓﻬﻮ ﺧﻴﺮٌ ﻟﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ .
ইবনে আব্বাস রাঃ উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা করতে যেয়ে বলেনঃ মাযলুম ব্যতীত কেউ কারো উপর বদদো'আ করতে আল্লাহ পচন্দ করেননা।তবে সর্বাবস্থায় ধর্য্য ধারণই উত্তম হবে।
মাযলুম যালিমের কাছ থেকে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত প্রতিশোধগ্রহণ করতে পারবে বা প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকতে পারবে এতে তার কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অন্যায়ভাবে কাউকে গালি দেওয়া যাবে না।এটা অবশ্যই গোনাহ। যদি কেউ গালির পরিবর্তে হুবহু সেই গালি দেয়, তাহলে যদিও গোনাহ হবে না, তবে এমনটা করা অবশ্যই অনুত্তম।
(২)
মাকরুহ অর্থ অপছন্দনীয়।আর হারাম অর্থ নিষিদ্ধ। মাকরুহ দুই প্রকার, মাকরুহে তানযিহি, যা না করা উত্তম,তবে কেউ করে নিলে কোনো গোনাহ হবে না।আর মাকরুহ তাহরিমি হল, এমন মাকরুহ,যা হারামের কাছাকাছি। করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।তবে হারামের মত গোনাহ হবে না।
(৩)
এই মাকরুহ দ্বারা মাকরুহে তানযিহি উদ্দেশ্য।