আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
আমি একজন নার্সিং স্টুডেন্ট, হসপিটালে ডিউটি করতে হয় আমাদের। ডিউটির সময় হাতমোজা পরতে দেয়না বা হাতমোজা পরে কাজ ও করা যায়না। তাই আমি ফুল হাতার জামা পরি। কিন্তু কাজ করতে গেলে প্রায়ই জামার হাতা উপরে উঠে সতরের কিছুটা অংশ বের হয়ে যায়। এতে তো আমার পর্দা লঙ্ঘন হচ্ছে। আমি অন্যান্য সময় একদম খাস পর্দা করে চলি আলহামদুলিল্লাহ্‌, কোনো পুরুষের দিকে প্রয়োজন ছাড়া তাকাই না আর কথাও বলিনা। কিন্তু ডিউটির সময় প্রায় ৮ ঘন্টা সারাক্ষণ পুরুষ রোগীর সেবা করতে হয়, কারন ওটা পুরুষদের ওয়ার্ড। তাদের গায়ে হাত দিতে হয়, গায়ে ধরে কাজ করতে হয়। পুরুষদের সাথে সারাক্ষণ কথা বলতে হয় এটা ওটা নিয়ে। আমি প্রোপারলি দেহের, কণ্ঠের পর্দা করতে পারছিনা এখানে। তারপর আবার ক্লাসে ছেলে মেয়ে কম্বাইন্ড ক্লাস হয় আমাদের। তারা ক্লাসে গান শোনে, গান গায়। মানা করলেও তারা কথা শোনেনা। ছেলে মেয়ে একসাথে পাশাপাশি বসে আড্ডা দেয়, হাসাহাসি করে। টিচাররা রোল কলের সময় নিকাব বা মাস্ক পরা থাকলে মুখ খুলতে বলে চেনার জন্য। এমন পরিবেশে দ্বীন পালন করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে আমার জন্য। আমি তাই এই পড়াশোনা ছাড়তে চাচ্ছি। কারন সেবা দিতে গিয়ে আমি আমার রবের হুকুম মানতে পারছিনা। বিভিন্ন হারাম খাতে টাকা দেয়া লাগছে যার উপর আমার কোনো হাত নেই, ফরজ কাজে বিঘ্ন ঘটছে।
কিন্তু আমার মা বাবা এসব বুঝতে চায়না। তাদের বোঝাতে পারছিনা বিষয়গুলো। আমি এই পড়াশোনা ছেড়ে দিলে তারা অনেক কষ্ট পাবে। কারন আব্বু আম্মু চায় যেন পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হই। আমি চাকরি করতে চাই না একদমই। এই পড়াশোনা ছেড়ে দিলে আব্বু আম্মু কষ্ট পেলে কি এটা হক নষ্ট করার মতো কিছু হবে?
বা এই অবস্থায় আমার করনীয় কি হবে?