আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
253 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।

আমি একজন নার্সিং স্টুডেন্ট, হসপিটালে ডিউটি করতে হয় আমাদের। ডিউটির সময় হাতমোজা পরতে দেয়না বা হাতমোজা পরে কাজ ও করা যায়না। তাই আমি ফুল হাতার জামা পরি। কিন্তু কাজ করতে গেলে প্রায়ই জামার হাতা উপরে উঠে সতরের কিছুটা অংশ বের হয়ে যায়। এতে তো আমার পর্দা লঙ্ঘন হচ্ছে। আমি অন্যান্য সময় একদম খাস পর্দা করে চলি আলহামদুলিল্লাহ্‌, কোনো পুরুষের দিকে প্রয়োজন ছাড়া তাকাই না আর কথাও বলিনা। কিন্তু ডিউটির সময় প্রায় ৮ ঘন্টা সারাক্ষণ পুরুষ রোগীর সেবা করতে হয়, কারন ওটা পুরুষদের ওয়ার্ড। তাদের গায়ে হাত দিতে হয়, গায়ে ধরে কাজ করতে হয়। পুরুষদের সাথে সারাক্ষণ কথা বলতে হয় এটা ওটা নিয়ে। আমি প্রোপারলি দেহের, কণ্ঠের পর্দা করতে পারছিনা এখানে। তারপর আবার ক্লাসে ছেলে মেয়ে কম্বাইন্ড ক্লাস হয় আমাদের। তারা ক্লাসে গান শোনে, গান গায়। মানা করলেও তারা কথা শোনেনা। ছেলে মেয়ে একসাথে পাশাপাশি বসে আড্ডা দেয়, হাসাহাসি করে। টিচাররা রোল কলের সময় নিকাব বা মাস্ক পরা থাকলে মুখ খুলতে বলে চেনার জন্য। এমন পরিবেশে দ্বীন পালন করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে আমার জন্য। আমি তাই এই পড়াশোনা ছাড়তে চাচ্ছি। কারন সেবা দিতে গিয়ে আমি আমার রবের হুকুম মানতে পারছিনা। বিভিন্ন হারাম খাতে টাকা দেয়া লাগছে যার উপর আমার কোনো হাত নেই, ফরজ কাজে বিঘ্ন ঘটছে।

কিন্তু আমার মা বাবা এসব বুঝতে চায়না। তাদের বোঝাতে পারছিনা বিষয়গুলো। আমি এই পড়াশোনা ছেড়ে দিলে তারা অনেক কষ্ট পাবে। কারন আব্বু আম্মু চায় যেন পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করে নিজে প্রতিষ্ঠিত হই। আমি চাকরি করতে চাই না একদমই। এই পড়াশোনা ছেড়ে দিলে আব্বু আম্মু কষ্ট পেলে কি এটা হক নষ্ট করার মতো কিছু হবে?

বা এই অবস্থায় আমার করনীয় কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্বী, আপনি পড়তে পারবেন।
434 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যথাসম্ভব পর্দা মেন্টন করে নার্সিং ইনস্টিটিউটে পড়ার চেষ্টা করুন। চিকিৎসারও প্রয়োজন রয়েছে এবং সমাজসেবারও প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া অনেক মহিলারোগীও থাকে, তাদের সেবার জন্য মহিলা সেবিকার প্রয়োজন রয়েছে। তাই আপনি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোগ ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...