মৃত মানুষকে জীবিত করার শক্তি মহান আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র হযরত ঈসা আঃ কে দিয়েছিলেন,অন্য কাউকেই দেননি।
তবুও মু'জেযা হিসেবে এ শক্তি হযরত ঈসা আঃ কে মহান আল্লাহ তায়ালা দিয়েছিলেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِذۡ قَالَ اللّٰہُ یٰعِیۡسَی ابۡنَ مَرۡیَمَ اذۡکُرۡ نِعۡمَتِیۡ عَلَیۡکَ وَ عَلٰی وَالِدَتِکَ ۘ اِذۡ اَیَّدۡتُّکَ بِرُوۡحِ الۡقُدُسِ ۟ تُکَلِّمُ النَّاسَ فِی الۡمَہۡدِ وَ کَہۡلًا ۚ وَ اِذۡ عَلَّمۡتُکَ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ وَ التَّوۡرٰىۃَ وَ الۡاِنۡجِیۡلَ ۚ وَ اِذۡ تَخۡلُقُ مِنَ الطِّیۡنِ کَہَیۡـَٔۃِ الطَّیۡرِ بِاِذۡنِیۡ فَتَنۡفُخُ فِیۡہَا فَتَکُوۡنُ طَیۡرًۢا بِاِذۡنِیۡ وَ تُبۡرِیٴُ الۡاَکۡمَہَ وَ الۡاَبۡرَصَ بِاِذۡنِیۡ ۚ وَ اِذۡ تُخۡرِجُ الۡمَوۡتٰی بِاِذۡنِیۡ ۚ وَ اِذۡ کَفَفۡتُ بَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ عَنۡکَ اِذۡ جِئۡتَہُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ فَقَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡہُمۡ اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ ﴿۱۱۰﴾
যখন আল্লাহ বলবেন, হে ঈসা ইবনে মারিয়াম, তোমার প্রতি ও তোমার মাতার প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ করো। যখন আমি তোমাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছিলাম। আর তুমি দোলনায় থাকা অবস্থায় ও পরিণত বয়সে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে। তোমাকে কিতাব, হিকমত, তাওরাত ও ইনজিল শিক্ষা দিয়েছিলাম; তুমি কাদামাটি দিয়ে আমার অনুমতিক্রমে পাখিসদৃশ আকৃতি গঠন করতে অতঃপর তাতে ফুৎকার দিতে, ফলে তা আমার আদেশে পাখি হয়ে যেত। জন্মান্ধ ও কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্তকে তুমি আমার আদেশে নিরাময় করে দিতে এবং আমার অনুমতিক্রমে তুমি মৃতকে জীবিত করতে। আমি বনি ইসরাইলকে তোমার থেকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম, যখন তুমি তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে তখন তাদের মধ্যে যারা কুফরি করেছে, তারা বলল, 'এটা তো স্পষ্ট জাদু।' (সুরা আল মায়েদা : ১১০)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এটি একটি মিথ্যা কথা, কারণ কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁকে জীবন দান করার বিষয়টি একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা শুধু অনুমতি দিয়েছেন ঈসা (আ.)-কে তাও কেবল মু'জেযা হিসেবে। এটা তাঁর বিশেষত্ব ছিল, যেটা কোরআন উল্লেখ করেছে এই বিশেষত্ব।
যদি এর পরবর্তী সময়ে এবং এর আগের সময়ে কাউকে এই অনুমোদন দেওয়া হতো, তাহলে এটার আর কোনো বিশেষত্ব থাকত না। আর এর মু'জেযা থাকত না। তাহলে এটা খুব সাধারণ একটি বিষয়ে পরিণত হতো। এভাবে কোনো সাধারণ বিষয় হিসেবে কোথাও এটি প্রমাণিত হয়নি।
এক্ষেত্রে এহেন বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী ইমাম সাহেবকে ইমামতি থেকে সড়ানো কমিটি সহ এলাকাবাসী সকলের জন্য অতিব জরুরি।