উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) হ্যাঁ মায়ের পা টিপে দেওয়ার সময় যিকির করা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
(০২) শিশুদের বদনজর থেকে বাঁচতে কপালে টিপ দেয়া,এটি পরিত্যাজ্য। টিপ দিলে বদনজর থেকে বাঁচা যায় এটি লোকমুখে প্রচলিত একটি কথা মাত্র। কুরআন ও হাদীসতো দূরে থাক বাস্তবতার সাথেও এর কোন সম্পর্ক নেই।
তাই একাজ অবশ্য পরিত্যাজ্য।
এগুলো হিন্দুয়ানী প্রথা।
.
عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাথে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
,
বদনজর থেকে বাচার জন্য এগুলোকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করা কুসংস্কার।
তাই এহেন কাজ করা নাজায়েজ।
মুসলমানদের এহেন ইমান বিধ্বংসি কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৬/১৮১)
,
তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন এগুলো বিশ্বাস করাকে শিরক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
,
(০৩) ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর আর তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যাবেনা।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যাবে।
(আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৩/৫৯)
সুতরাং ৪-২০ এ যদি ফজরের ওয়াক্ত (সুবহে সাদিক) শুরু হয়,তাহলে ৪ টা থেকে ৪-১৯ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারবেন।
,
(০৪)
সুবহে সাদিক এর সময় থেকে ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়।
বিষয়টি একটু জটিল। সুবহে সাদিক, সুবহে কাযিব নির্ণয় করার ক্ষমতা সবার নেই। পশ্চিমাকাশে লম্বা সাদা আভা দেখা দেয়া হল সুবহে কাযিব। এর কিছুক্ষণ আড়াআড়িভাবে বড় আকারে সাদা আভা প্রকাশিত হওয়া হল সুবহে সাদিক। যার পর ধীরে ধীরে আলো ফুটতে থাকে।
এ বিষয়টি একটু সুক্ষ্ম বিষয়। সবার চোখে এ পার্থক্য সহজে প্রতিভাত হওয়া আসলে সম্ভব নয়।
তাই এক্ষেত্রে আবহাওয়াবীদদের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের উপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত গবেষকগণ এ বিষয়ে গবেষণা করে প্রতি বছরই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের টাইম নির্দিষ্ট করে থাকেন। সেই সাথে সুবহে সাদিক তথা কখন ফজর শুরু হয়, কখন সূর্য উঠে এবং সূর্য অস্ত যায়, তা নির্ণিত করে থাকেন।
যেহেতু বিষয়টি জ্যোর্তিবিদ্যা, মহাকাশ ও আবহাওয়া বিষয়ক। তাই এসব বিশেষজ্ঞদের মতামত আমরা সাধারণত মেনে চলছি।
সেই হিসেবেই ফাউন্ডেশন কর্তৃক সময় নির্ধারণী ক্যালেন্ডার অনুপাতেই আমভাবে আমল করা হয় পুরো বাংলাদেশে। কিছু কিছু ব্যক্তি ছাড়া।
তাই আমাদের চোখে সুবহে সাদিক মনে না হলেও ক্যালেন্ডারের সময়সূচি অনুপাতে ফজর নামায পড়তে পারেন। সতর্কতা স্বরূপ একটু পরে পড়াই উত্তম বলে মনে হয়।
(০৫) কেউ যদি দুআ করার সময় কান্না করে এবং তা অন্য কারো কাছ থেকে লুকাতে চায়, এতে কোনো সমস্যা হবেনা।