আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in সাওম (Fasting) by (26 points)
১একজনের কাযা রোজা রাখতে হবে ৬০ টা । কিন্তু সে রাখতে চাচ্ছে কিন্তু সাহস পাচ্ছে না, তার প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা আছে, এবং গেষ্টিক, এবং সে শারীরিক দুর্বল প্রকৃতির। সে রোজা রাখতে পারবে, কিন্তু এই সব অসুস্থ হওয়ার ভয় আছে।  এমতবস্থায় কি সে টাকা দিয়ে দিলে হবে? নাকি রোজা রাখা শুরু করবে?


২- রোজা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসলে কিভাবে নাকে পানি দিবে, পানি টেনে নিলে গলায় চলে যাওয়ার আশংকা থাকে, এমতবস্থায় কতো টুকু নাকের ভিতর পানি দিলে গোসল হয়ে  যাবে? অর্থাৎ নাকের নরম স্থানের সীমানা কতো টুকু?

1 Answer

0 votes
by (63,040 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। (সূরা বাকারা, আয়াত নং-১৮৪)

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ، قَالَ " أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا "

লাকীত ইবনু সাবরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে উযূ (ওজু/অজু/অযু) সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেনঃ পূর্ণরূপে উযূ করবে, আর তুমি যদি রোযাদার না হও তাহলে উত্তমরূপে নাকে পানি পৌছাবে। সহীহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৪০৭।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. মাথা ব্যাথা ও গেষ্টিক তেমন কোনো রোগ নয়। তাই উক্ত রোগের কারণে রোজা না রেখে ফিদিয়া দেওয়া জায়েজ হবে না। আর যদি সে খুব বেশী শারীরিক দুর্বল হয় তাহলে প্রয়োজনে কিছু দিন পরে উক্ত রোজা রাখার অবকাশ আছে।

 ২. রোজা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসলের সময় নাকের প্রথম অংশ অর্থাৎ নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছালেই হবে। নাকের খুব বেশী ভিতরে পানি পৌাছানো লাগবে না। আর নাকের নরম স্থানের সীমানা হলো নাকের ভিতরের হাড় পর্যন্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 47 views
0 votes
1 answer 159 views
...