আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,519 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
ধন্যবাদ আর এক টি জানতে চাচ্ছিলাম।মনে করেন হস্তমৈথুন করলাম ইফতারের পরে রাতে।এখন ত গুসল ফরজ।এক্ষেত্রে আমি যদি গুসল না করে সেহরি খাই ও পরে সকালে গুসল করি তাহলে কি রোজা হবে না ফরজ গোসল করেই সেহরি খেয়ে রোজা রাখতে হবে?আশা করি দ্রুত উত্তর দিবেন।ধন্যবাদ আপনাদেরকে এই প্লেটফর্মের  জন্য। আরেক টি প্রশ্ন হচ্ছে অন্য সময় রোজা না থাকলে আমি জেভাবে ফরজ গোসল করিঃ ১।নিয়ত করি আমি নাপাকি দূর করার জন্য ও পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করতেছি। ২।গড়গড়া কুলি করি ৩।নাকে পানি দেই ৪।সারা শরির ধুই মাথায় পানি দেই আগে বা পরে  রুজা অবস্থায় গড়্গড়া না করে নরমাল কুলি করি এবং নাকে হালকা পানি দেই সারাশরির ধুই। ঠিক আছে?আশা করি উত্তর দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


কোনো ব্যাক্তির উপর যদি গোসল ফরজ হয়,আর সে গোসল সেহরী খায়,তাহলে রোজার কোন সমস্যা হবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুনুবি (নাপাক) অবস্থায় সেহরি (সাহুর) গ্রহণ করেছেন বলে একাধিক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে এবং এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, তার আগে তিনি ওজু করে নিতেন।
এ অবস্থায় সেহরি খেলে ফজর সালাতের পূর্বে অবশ্যই গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে নিতে হবে।
যেমন: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,

 উম্মুল মোমিনীন আয়েশা রা. বর্ণিত হাদিস:
ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺣﻠﻢ، ﻓﻴﻐﺘﺴﻞ ﻭﻳﺼﻮﻡ

“রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় (অর্থাৎ স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে নাপাক অবস্থায়) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর হয়ে যেত। অত:পর তিনি গোসল করে রোজা রাখতেন।”
[সহিহ বুখারি : ১৮২৯ ও মুসলিম : ১১০৯।]

রাসুলের অপর স্ত্রী উম্মুল মোমিনীন উম্মে সালামা রা. বর্ণনা করেন:
ﻛﺎﻥ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺍﻟﻔﺠﺮ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﻣﻦ ﺃﻫﻠﻪ ﺛﻢ ﻳﻐﺘﺴﻞ ﻭﻳﺼﻮﻡ.
“সহবাসের ফলে নাপাকি অবস্থায় রাসুল সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজর করে ফেলতেন। অত:পর গোসল করে রোজা রাখতেন।
[সহিহ বুখারি: ১৯২৬]

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★যদিও উক্ত ব্যাক্তির রোযা হয়ে যাবে,তবে ফজরের নামাজের আগেই তাকে গোসল করতে হবে।
নতুবা ফজরের নামাজ কাজা হবে।
যেটি কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
,
★রোযা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসল করার নিয়ম হলো,অন্যান্য সময়ের নিয়মের মতোই।
তবে গড়গড়িয়ে কুলি করা যাবেনা।
এমনিতেই তিন বার কুলি করবে।
নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছাবেনা।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত রোযাদার ব্যাক্তির ফরজ গোসলের পদ্ধতি সহীহ।
,
বিস্তারিত জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 74 views
0 votes
1 answer 71 views
...