বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ
عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ
فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ
وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের
মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে
নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি
খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা
রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। (সূরা বাকারা, আয়াত নং-১৮৪)
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ
قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ، قَالَ "
أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا
"
লাকীত ইবনু সাবরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া
রাসূলাল্লাহ! আমাকে উযূ (ওজু/অজু/অযু) সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেনঃ পূর্ণরূপে উযূ
করবে, আর তুমি যদি
রোযাদার না হও তাহলে উত্তমরূপে নাকে পানি পৌছাবে। সহীহ, ইবনু মাজাহ হাঃ ৪০৭।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. মাথা ব্যাথা ও গেষ্টিক তেমন কোনো রোগ নয়। তাই উক্ত রোগের
কারণে রোজা না রেখে ফিদিয়া দেওয়া জায়েজ হবে না। আর যদি সে খুব বেশী শারীরিক দুর্বল হয় তাহলে প্রয়োজনে কিছু দিন পরে
উক্ত রোজা রাখার অবকাশ আছে।
২. রোজা রাখা অবস্থায় ফরজ গোসলের সময়
নাকের প্রথম অংশ অর্থাৎ নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছালেই হবে। নাকের খুব বেশী ভিতরে
পানি পৌাছানো লাগবে না। আর নাকের নরম স্থানের সীমানা হলো নাকের ভিতরের হাড়
পর্যন্ত।