হাফেয ইবনে আব্দুল বার রাহ বলেন,
[ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﺒﻞ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻭﻧﺪﺏ ﺃﻣﺘﻪ ﺇﻟﻴﻬﺎ، ﻭﻓﻴﻪ ﺍﻷﺳﻮﺓ ﺍﻟﺤﺴﻨﺔ ﺑﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ . ﻭﻣﻦ ﻓﻀﻞ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻣﻊ ﺍﺗﺒﺎﻉ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﺃﻧﻬﺎ ﺗﻮﺭﺙ ﺍﻟﻤﻮﺩﺓً ﻭﺗُﺬﻫﺐ ﺍﻟﻌﺪﺍﻭﺓ ]
রাসূলুল্লাহ সাঃ হাদিয়াকে গ্রহণ করতেন,এবং হাদিয়া দিতে উম্মতকে উৎসাহ দিতেন।এতেই নিহিত রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উত্তম আদর্শ ও নমুনা।সুন্নাতের অনুসরণে হাদিয়ার তাৎপর্য হল যে,তা মহব্বত সৃষ্টি করে ও শত্রুতাকে দূর করে।(ফতহুল মালিক-৯/৩৫৮-৩৫৯)
https://www.ifatwa.info/3747 নং ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)
এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
★সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ফাইল,কলম,স্কেল উপহার গুলোকে যদি তারা সন্তুষ্টি চিত্তেই দেয়,তাহলে এগুলো তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হাদিয়া ধরা হবে।
যাহা গ্রহন জায়েজ হবে।
(০৩)
এগুলোও ব্যবহার করতে পারবেন।
ডাক্তারদের জন্য যে সমস্ত গিফট দেওয়া হয়,সেগুলোর শরয়ী বিধান জানুনঃ-
https://ifatwa.info/13447/