উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) নামাজ আদায় করার পর মহান আল্লাহ তাআলার জিকির-আজকারের প্রতি মনোযোগী হতে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর বিশ্বনবী (সা.) গুরুত্বপূর্ণ জিকির ও দোয়া পড়তেন।
নামাজের সালাম ফেরানোর পর প্রিয়নবী কিছু সময় দোয়া ও তাসবিহ পড়তেন। তার উম্মতকেও এ সব দোয়া পড়তে উৎসাহ প্রদান করতেন।
যে সব নামাজের পর সুন্নত কিংবা নফল নামাজ রয়েছে সেসব নামাজে সংক্ষেপে দোয়া পড়তেন। আর যেসব নামাজে সুন্নত কিংবা নফল নামাজ নেই তাতে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় ধরে দোয়া ও তাসবিহ পড়তেন।
হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজের সালাম ফেরাতেন, তখন এ দোয়া পাঠ করা পরিমাণ সময়ের বেশি বসে থাকতেন না। (আর তাহলো)-
اَللهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ تَبَرَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি নিজেই শান্তিময়। আর আপনার কাছ থেকেই শান্তি আসে। হে প্রতাপশালী ও সম্মানের অধিকারী! তুমি বরকতময়।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, নামাজ শেষে প্রিয়নবি বলতেন-
হজরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজ শেষ করতেন, তখন ৩বার ইসতেগফার করতেন-
اَسْتَغْفِرُ الله
অর্থ : হে আল্লাহ! ক্ষমা করুন।
অতঃপর বলতেন-
اَللهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ تَبَرَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি নিজেই শান্তিময়। আর আপনার কাছ থেকেই শান্তি আসে। হে প্রতাপশালী ও সম্মানের অধিকারী! তুমি বরকতময়।’ (মুসলিম)
★নামাজের পর যেকোনো তাসবিহ পড়া যেতে পারে।
তবে যেসব নামাজের পর সুন্নাত নামাজ আছে,সেসব নামাজের পর বেশিক্ষন সময় ব্যায় করে তাসবিহ না পড়াই উত্তম ।
বিঃদ্রঃ প্রশ্নে উল্লিখিত পদ্ধতিতে ফরজ নামাজের পর তাসবিহ পড়ার কথা হাদীস শরীফে নেই।
তবে এটাকে কোনোভাবে নাজায়েজ বলা যায়না।
পড়া যেতে পারে,কোনো সমস্যা নেই।
ফায়েদা থেকে খালি নয়।