ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আনাস রাযি. বলেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
নাভীর নীচের চুলকে মুন্ডিয়ে ফেলা সুন্নত।তবে ঔষধ ব্যবহার করে পরিস্কার করা বা কেচি দ্বারা গোড়ায় কেটে ফেলারও অনুমোদন রয়েছে।
ইবনে হাজার আসক্বালানী রাহ বলেন,পুরুষ-মহিলা উভয়ের জন্য নাভীর নীচ মুন্ডানো সুন্নত।ইমাম নববী রাহ লিখেন,নাভীর নীচের চুলের ব্যাপারে পুরুষের জন্য মুন্ডানো এবং মহিলার জন্য উপড়িয়ে ফেলা উত্তম।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১৯/৪৪৬)
বিস্তারিত জানুনঃ
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
লজ্জাস্থানের লোম চেছে ফেলাই সুন্নাত।
মলত্যাগ রাস্তার সামনের চুলও মুন্ডানো সুন্নাত,তাই মুন্ডাতে হবে।
কষ্টকর হলে যতটুকু সম্ভব হয়,ততটুকু চেছে ফেলবেন।
ঔষধ জাতীয় কিছুও ব্যবহার করতে পারেন।
(০২)
এটা স্রেফ ভদ্রতা স্বরুপ বা নিয়ম পালনার্থে বলা যাবে।
(০৩)
না,একই ছওয়াব পাবেননা।
(০৪)
এ সংক্রান্ত জানতে মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ এর ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ,মাওলানা মনসুরুল হক সাহেব দাঃবাঃ এর কিতাবুল ঈমান পড়তে পারেন।
,
(০৫)
নির্দিষ্ট দোষ এর কথা না হলে এমনিতেই ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করবেন।
সম্ভব না হলে তাদের জন্য দোয়া করবেন।
,
(০৬)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৭)
(তাদের মুসলিম/অমুসলিম হওয়ার বিষয়টি উলামায়ে কেরামগন জানাবেন।)
তাদের সাথে দেখা হলে কোনো শাস্তি ইত্যাদি দেওয়ার সুযোগ সাধারণ ব্যাক্তিদের নেই।