وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মিলাদ কিয়াম বিদআত। নির্দিষ্ট পদ্ধিতিতে মিলাদ কিয়াম করাকে সওয়াব মনে করলে সওয়াবের বিপরীতে গোনাহ হবে।কেননা মিলাদ কিয়ামের প্রচলিত পদ্ধতি রাসূলুল্লাহ সাঃ, এবং সাহাবায়ে কেরাম বা তার পরবর্তী যুগে ছিল না।বরং এটা অনেক পরে মানুষের আবিস্কৃত একটি বিদআত।যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
হাদিস শরীফে এসেছে..........
وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ»
তরজমা- প্রত্যেক নবসৃষ্টই বিদআত(আবু-দাউদ হাদিস নং৪৬০৭-লম্বা হাদিসের অংশ বিশেষ)
উক্ত হাদিসের ব্যখ্যায় বিদআতের আলোচনা করতে যেয়ে আব্দুর রহমান মোবারকপুরি রাহঃ বলেন
والمراد بالبدعة ما أحدث في الدين ما لا أصل له في الشريعة يدل عليه)مراعاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح -ج1ص264(
তরজমা- বিদআত দ্বারা উদ্দেশ্য হল,দ্বীনের মধ্যে এমন কোনো জিনিষ নবআবিস্কৃত হওয়া,যাকে শরীয়তের মূলনীতি সমর্থন দেয়না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত অনুষ্ঠানে যদি প্রচলিত মিলাদের ন্যায় কিছু না পড়া হয়,তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
তবে প্রচলিত মিলাদের ন্যায় নিয়ম আকারে ছওয়াবের লক্ষ্যে দরুদ পড়া হলে বিদ'আত হবে।
(০২)
আপনার গুনাহ হয়নি।
,
(০৩)
এই তাবারকটি মূলত আপনাদের কলেজের বার্ষিক দোয়া মাহফিল হিসেবে সকলকে দেওয়া হয়েছে।
এটি গ্রহন করাতে কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৪)
গুনাহ হবেনা।
(০৫)
এতে বান্দার হক নষ্ট হওয়ার গুনাহ হবে।
,
(০৬)
এতে যেহেতু তাদের কন্ঠের পর্দা পালন সম্ভব নয়,সকলের সামনে তার পর্দা খেলাফি হবে।
তাই এটি জায়েজ নয়।
,
(০৭)
পেশা গুলো উল্লেখ করলে সমাধান জানাতে সুবিধা হয়।
,
এ সংক্রান্ত নীতিমালা জানুনঃ
(০৮)
না,সুন্নাত নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ