আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)

আসসালামু আলাইকুম।
আমরা ২ ভাই, ৫ বোন। আমার পিতার আগের স্ত্রীর ১ ছেলে আর ৪ মেয়ে। আর আমার মায়ের আমি আর আমার বোন। আগের স্ত্রী ছেলে জন্ম দেয়ার কিছুদিন পর মারা যায়। ভাইয়া ছোট তাকে লালন পালন করতে মায়ের প্রয়োজন তখন আমার মাকে বিয়ে করে আনে। মা তাদের সবাইকে লালন পালন করে বড় করে। তারপর আমার বোন হয় তারপর আমি।

আমার পিতা মারা যাওয়ার প্রায় ১১ মাস হলো। তার রেখে যাওয়া সম্পদ এখনো তারা ভাগ করতে চাচ্ছে না তারা এটাও বুদ্ধি করতেছে তারা সম্পদ নিবে কিন্তু মাকে দিবে না কিছুই। কেউ জীবনে মাকে একটা সাবান পর্যন্ত কিনে দেয় কি। মা ওদের কষ্ট করে লালন পালন করেছে কিন্তু তারা মায়ের খোজ পর্যন্ত নেয় না। ভাই আর তার স্ত্রী মাকে গালাগালি ও করে মাঝেমধ্যে।

এখন প্রশ্ন হলো মাকে তো আমি তার প্রাপ্য সম্পদ বুঝিয়েই দিবো যাই হয়ে যাক। এখন মা যদি তার সম্পদ নিজে থেকে আমাকে বা আমার বোন কে দিয়ে দেয় তাহলে কি কারো হ্বক আদায় হবেনা? নাকি এটা মায়ের ইচ্ছা? যেহেতু তারা মাকে দেখে না। সম্পত্তি না দিলে তিনি থাকবে কই। মানুষের হায়াত এর ঠিক নাই। যদি আমি আগে চলে যাই তাহলে তখন তিনি থাকবেন কই। কেউ তো তাকে দেখবে না। এখন তিনি যদি আমাকে দেয় তাহলে কি কারো হ্বক নষ্ট হবে? <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/share/clipdata_211126_205931_820.sdoc-->

 

আমি আল্লাহ এবং বিচার দিবস কে ভয় করি তাই জেনে বুঝে নেয়া উচিৎ। 

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভূমিকা
হযরত আবু উমামা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻗَﺪْ ﺃَﻋْﻄَﻰ ﻛُﻞَّ ﺫِﻱ ﺣَﻖٍّ ﺣَﻘَّﻪُ ، ﻓَﻠَﺎ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَﺍﺭِﺙٍ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক হক্বদারকে তার প্রাপ্য হক্ব (নির্ধারণ)করে দিয়েছেন।সুতরাং ওয়ারিছদের জন্য আর কোনো ওসিয়্যাত নেই।
অর্থাৎ-মূত্যুর পরে কাউকে কিছু দানের সিদ্ধান্ত নিলে সেটা ওসিয়ত হয়ে যায়,আর নিজ ওয়ারিছদের মধ্য থেকে কারো জন্য ওসিয়ত করা জায়েয নয়।তবে ওয়ারিছ ব্যতীত অন্য কারো জন্য এক তৃতীয়াংশ মালে ওসিয়ত করা জায়েয আছে। (সুনানে আবু-দাউদ-২৮৭০সুনানে তিরমিযি-২১২০সুনানে নাসাঈ-৪৬৪১ইবনে মাজাহ-২৭১৩)

হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّه ُمِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিছদেরকে মিরাছ প্রদান থেকে পলায়ন করবে(তথা-ওয়ারিছদেরকে মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবে)আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২৭০৩)

হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋَﻦِ اﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ - ﻋَﻦِ اﻟﻨَّﺒِﻲِّ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - ﻗَﺎﻝَ: «ﻻَ ﻭَﺻِﻴَّﺔَ ﻟِﻮَاﺭِﺙٍ، ﺇِﻻَّ ﺃَﻥْ ﻳَﺸَﺎءَ اﻟْﻮَﺭَﺛَﺔُ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ ওয়ারিছদের জন্য কোনো ওসিয়ত নেই,তবে যদি অন্যান্য সমস্ত ওয়ারিছরা রাজি থাকে তাহলে জায়েয আছে। (মিশকাত-৩০৭৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার মা, আপনার বাবার সম্পদ থেকে ৮ভাগের এক ভাগ পাবেন।উনাকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না।এবং আপনার মা যা পাবেন, সেই সম্পদের ওয়ারিছ আপনারা দুই ভাইবোন হবেন।আপনার সৎ ভাই বোন আপনার মায়ের অংশ থেকে কিছুই পাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 106 views
...