ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, নামায হবে।এতে কোনো সমস্যা নেই।
(২)
জ্বী, আমরা দেওবন্দী মাসলাককে সম্মান করি, পাশাপাশি আরোও যে সমস্ত হক জামাত রয়েছে,তাদেরকেও যথেষ্ট সম্মান করার চেষ্টা করে থাকি।
(৩)
https://www.ifatwa.info/1037 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
শিক্ষাগ্রহণ-ই তাসাউফ বা সুফীবাদের মূল হাকিকত।মুরিদ করা বা হওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়,বরং সংশোধন করা বা হওয়াই মূল উদ্দেশ্য।মুরিদ হওয়াকে প্রাতিষ্টানিক ভর্তির সাথে তুলনা করা যেতে পারে।কেউ প্রাতিষ্টানিক ভর্তির মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করে।আবার কেউবা প্রাতিষ্ঠানিক ভর্তি ছাড়াই জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়।বিস্তারিত জানতে দেখুন-(আহসানুল ফাতাওয়া-১/৫৪৬)
তাসাউফ বা সুফীবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা বুজুর্গানে কেরামগণ সাধারণত কুরআন-হাদীসের আলোকেই লোকদেরকে শিক্ষা প্রদান করে গেছেন।তবে এর মধ্যেও কারো কাছ থেকে কিছু অতিরঞ্জন শোনা যায়।সেজন্য এটাই বলা যায় যে,কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো মতবাদ বা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সূফীবাদ অর্থ হল,শিক্ষকের ভমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মানুষকে বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত বিষয়ে দ্বীন ও শরীয়তের সঠিক জ্ঞান শিক্ষা দেয়া। এ অর্থ হিসেবে সূফীবাদ ইসলামে সমর্থিত একটা বিষয়।তবে যদি সূফীবাদের অর্থ করা হয়,প্রচলিত পীর মুরিদী প্রথা।তাহেল তা ব্যখ্যা সাপেক্ষ্য।যদি পীর মুরিদী প্রথাকে আখেরাতে নাজাতের উসিলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।তাহলে তা কখনো অনুমোদনযোগ্য হতে পারে না।আর যদি পীর মুরিদীর অর্থ হয়,দ্বীন শিক্ষা দেয়া,পীর হলেন শিক্ষক আর মুরিদ হলেন ছাত্র,তাহলে ইহা শরীয়তে গ্রহণযোগ্য একটা বিষয়।