বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/15301 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সিরাত বিশ্বকোষ – একাদশ খণ্ড (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ) এ মুজিযা এবং কারামত এবং ইস্তিদরাজ সম্পর্কে বলা হয় যে,
মুজিযা ও কারামাতের মধ্যে পার্থক্য
মুজিযা নিয়ে আলোচনা পূর্বেই হয়ে গেছে। এখন কারামাত বলতে কি বুঝায় এবং মুজিযা ও কারামাতের পার্থক্য তুলে ধরা হবে।
كرامة (কারামাত) শব্দটি كرم ধাতুমূল থেকে গঠিত হয়েছে। এর অর্থ – উদার, দয়ালু, সম্মানিত হওয়া। আল্লাহ পাকের অসংখ্য গুণবাচক নামের মধ্যে “কারীম” একটি গুণবাচক নাম। আল-কুরআনে এটি একাধিকবার ব্যবহৃত হয়েছে। আল্লাহ পাক সেখানে আল-কারীম (الكريم) অর্থাৎ উদার বা দয়ালু নামে আখ্যায়িত হয়েছেন। তবে কারামাত বলতে যা বুঝায়, আল-কুরআনে উল্লিখিত আল-কারীম শব্দ তা বুঝায় না।
কারামাত (كرامة) শব্দটির বহুবচন কারামাত (كرامات)। ধর্মীয় পরিভাষায় এর অর্থ – আল্লাহ’র দেওয়া দান, যা সম্পূর্ণ মুক্ত, অবারিত অনুগ্রহ (ইহসান বা ইনআম)। তবে যথাযথ ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে এভাবে যে, আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহপূর্বক তার প্রিয়জনদেরকে অলৌকিক ঘটনা সম্পাদন করার যোগ্যতা প্রদান করে থাকেন। আর তারাও আল্লাহ পাকের অনুকম্পাসিক্ত হয়ে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ করেন। এটিই কারামাত নামে অভিহিত। এ সমস্ত ঘটনা সাধারণত বস্তুজগতে সংঘটিত বিস্ময়কর ঘটনার সমন্বয়ে ঘটিত নতুবা ভবিষ্যতের কোন পূর্ব সংকেতস্বরূপ অথবা আধ্যাত্মিক বিষয়ের কোন ব্যাখ্যাস্বরূপ। (ইসলামী বিশ্বকোষ, ৭ম খ.)
মুজিযা ও কারামাতের সংজ্ঞা থেকে এ কথা সুস্পষ্ট যে, মুজিযা ও কারামাতের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। তবে আউলিয়ায়ে কিরামগণের দ্বারা কারামাত প্রকাশ পাওয়া আদৌ সঠিক কিনা, সে ব্যাপারে আলিমগণ মতভেদ করেছেন।
(২)
না, শিরক হবে না।তবে আগামিতে সবিস্তারে বলে দিবেন।
(৩)
না, আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৪)
বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত নয়।যে সব বর্ণনা দ্বারা বর্ণিত হয়েছে, তার সবগুলোই যঈফ।
(৫)
বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত নয়।যে সব বর্ণনা দ্বারা বর্ণিত হয়েছে, তার সবগুলোই যঈফ।