আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
96 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (102 points)
edited by
১)কেউ মজার চলে একটা আয়াতের শুরুর শব্দ যেমন ইজিম ইজিম এটা বারবার বলতেছিল মনে মনে এমনিই। আয়াতকে নিজে হাসি ঠাট্টার কোনো নিয়ত ছিল না।এতে কি ঈমান থাকবে?

২) অমুসলিম কে কাফের হিসেবে বিশ্বাস না করলে ঈমান থাকবে?

৩) ইস্তেঞ্জা করার সময় লজ্জাস্থানে পানি দিলে অনেক সময় কিছু ফোঁটা পানি ছিটে পায়ের রানের দিকে লাগে।ওই পানি কি নাপাক?তাহলে যেখানে লাগবে সেখানেও ধুতে হবে?

৪) বিভিন্ন ঘটনায মানুষ অবাক বা দুর্ঘটনা হলে বা বিভিন্ন কথায় মানুষ অনেক সময় এরকম বলে থাকে

ওরে আল্লাহ রে

এরকম বলা কি জায়েজ

৫) হিন্দুদের দল উৎসব নিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথের একটি গান আছে।এখানে শুধু অর্থ দাড়ায় দল শুরু হয়েছে সবাইকে বের হতে বলে।এটা যে হিন্দুদের উৎসব নিয়ে লেখা গান আমি তা আমি অনেক আগে শুনেছিলাম।

আমার মনে ছিল না যে এটা হিন্দুদের উৎসবের গান অনেক আগে স্কুলে শিখিয়েছিল তাই আজকে গেয়ে ফেলেছি।তখন মনে পড়ছে যে এটা হিন্দুদের দোল নিয়ে লেখা গান।

আমার কি ঈমান থাকবে?

৬) খাবারে চুল পরায় মজা করে বলেছিলাম খাওয়ায় জিনিষ ই তো।

হালাকে হারাম মনে করা কুফরী জানি।এতে কি ঈমান থাকবে?

৭) অজু করার সময় ৩বার ধুয়েও আরেকজনকে মজা করে ২বার বলছিলাম।মজা করে মিথ্যা বলাও কবিরা গুনাহ জানি।কিন্তু অজু নিয়ে মজা/ঠাট্টা করি নাই ।

এতে কি ঈমানের কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (672,120 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হ্যাঁ ঈমান থাকবে।
,
(০২)
 শরীয়তের বিধান মতে কোনো মুসলিমকে কাফের বলা যাবেনা।
আবার স্পষ্ট ভাবে জানার পরেও কোনো কাফেরকে মুসলিম বলা যাবেনা।

  
আবু দাউদ শরীফের ২৬৪৩ নং হাদীসে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ الْمَعْنَى، قَالَا: حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، حَدَّثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً إِلَى الْحُرَقَاتِ فَنَذِرُوا بِنَا فَهَرَبُوا فَأَدْرَكْنَا رَجُلًا، فَلَمَّا غَشِينَاهُ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، فَضَرَبْنَاهُ حَتَّى قَتَلْنَاهُ فَذَكَرْتُهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَنْ لَكَ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّمَا قَالَهَا مَخَافَةَ السِّلَاحِ. قَالَ: أَفَلَا شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ حَتَّى تَعْلَمَ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ قَالَهَا أَمْ لَا؟ مَنْ لَكَ بِلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ فَمَا زَالَ يَقُولُهَا حَتَّى وَدِدْتُ أَنِّي لَمْ أُسْلِمْ إِلَّا يَوْمَئِذٍ

উসামাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আল-হুরূকাত (নামক স্থানে) অভিযানে প্রেরণ করলেন। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শত্রুরা পালিয়ে গেলো। ‘আমরা তাদের এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলতে যখন ঘেরাও করলাম, তখন সে ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ পাঠ করলো। এ সত্ত্বেও ‘আমরা তাকে আঘাত করে হত্যা করলাম। পরে ঘটনাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালাম। তিনি বললেনঃ কিয়ামাতের দিন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তোমার বিরুদ্ধে বাদী হলে কে তোমার জন্য সুপারিশ করবে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে তো তরবারির ভয়ে কালেমা পাঠ করেছে। তিনি বললেনঃ সে তরবারির ভয়েই কালেমা পাঠ করেছে, তা কি তুমি তার অন্তর ফেড়ে দেখেছো? কিয়ামাতের দিন ‘‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’’ এর সামনে কে তোমাকে নাজাত দিবে (বর্ণনাকারী বলেন,) তিনি বারবার এ কথা বলতে থাকলেন। এমন কি আমার মনে হচ্ছিল, আমি যদি এ দিনটির পূর্বে মুসলিম না হতাম!

আরো জানুনঃ

★অমুসলিম কে মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করা নাজায়েজ,তবে এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
,
(০৩)
সেখানে ধুতে হবেনা।
তবে সেই পানি যেনো না লেগ,সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
,
(০৪)
হ্যাঁ জায়েজ আছে।
,
(০৫)
আপনার ঈমান থাকবে।
,
(০৬)
 হ্যাঁ ঈমান থাকবে।
,
(০৭)
এতে ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...