আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ |
১. ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার সময় মাগরীবের পুরো ওয়াক্তটা বাসে থাকা হয়। এসময় কিবলা ঠিক না থাকার পরও  কি বাসে বসে নামাজ আদায় করতে পারব?
২. ফরজ নামাজে রুকু সিজদাতে কি নির্দিষ্ট তাসবিহ তিনবারের জায়গায় বেশি বার পড়া যাবে ? পাশাপাশি রুকু ও সিজদাতে পড়া হয় এমন অন্য দুআগুলোও পড়া যাবে ? শেষ বৈঠকে সালাম ফিরানোর আগে কি অন্যান্য আরবি দুআ পড়া যাবে ?
(আমি হানাফি মাযহাব অনুসরণ করি। নফল নামাজে আমি এসব পড়ি তবে ফরজে পড়া যাবে কিনা জানতে চাচ্ছি)
৩.  অনেকে বাথরুমের পর একটি শুকনো কাপড় দিয়ে শরিরে লেগে থাকা পানি মুছে নেয় ৷ আমি যদি ভালোভাবে পরিষ্কার হই তবে এমন পানি না মুছি তাহলে কি আমার কাপড় টা নাপাক হবে ? পড়ে থাকা এই সালোয়ার টা পড়েই কি নামাজ পড়তে পারব?

৪. আমি এক মাযহাব হয়ে কি অন্য মাযহাবের কিছু নিয়ম অনুসরন করতে পারব ৷ যেমন তাদের লম্বা নামাজের বিষয়টা ৷

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, বাসেই তখন নামায পড়তে হবে।অতপর বাস থেকে নেমে আবার উক্ত নামাযকে দোহড়াতে হবে।

(২)
জ্বী,তিনবারের বেশী তাসবিহ পড়া যাবে।
নামাযে দু'আ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/185
(৩)
ভালভাবে পরিস্কার হলে, অতিরিক্ত কোনো কাপড় দ্বারা শরীরকে আবার মুছতে হবে না।
(৪)
https://www.ifatwa.info/402 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"
মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।

সুতরাং কোনো এক আলেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব। এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য। সুতরাং এ দৃষ্টিকোনে নবীজী সাঃ কোনো মাযহাবের অনুসারী হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

হ্যা কুরআন হাদীসে মাযহাবের কথা রয়েছে।যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺭْﺳَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﺇِﻻَّ ﺭِﺟَﺎﻻً ﻧُّﻮﺣِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﺍْ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﻻَ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
আপনার পূর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে। (সূরা নাহল-৪৩)
এই জিজ্ঞাসা এবং সে অনুযায়ী আ'মল করা এর নামই মাযহাব।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনাকে যে কোনো একটি মাযহাবই মানতে হবে। এক মাযহাবের অনুসারি হয়ে ভিন্ন মাযহাবকে অনুসরণ করা কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 289 views
...