বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/4385 নং ফাতাওয়ায়
আমরা বলেছি যে,
তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো উত্তম হলেও তাহাজ্জুদের পূর্বে ঘুমানো জরুরী নয়।
অতএব তাহাজ্জুদের পরে ঘুমানোও জরুরী নয় বরং উত্তম। (আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৪৯৩)
কেননা আল্লাহ পাক দিনকে বানিয়েছেন কাজ করার জন্য এবং রাত্রকে বানিয়েছেন
বিশ্রাম গ্রহণের জন্য। তাই রাত্রে আমাদেরক ঘুমাতে হবে। এবং শেষরাত্রে এশা'র ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে নিয়ে ফজরের
ওয়াক্ত শুরুর পূর্ব পর্যন্ত যে কোনো এক মুহুর্তে ২-১২/২০রা'কাত নামায পড়তে হবে এবং পড়াটা সুন্নাত।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﺇِﻥَّ ﻧَﺎﺷِﺌَﺔَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻫِﻲَ ﺃَﺷَﺪُّ ﻭَﻁْﺀًﺍ ﻭَﺃَﻗْﻮَﻡُ ﻗِﻴﻠًﺎ
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের
অনুকূল। (সূরা মুযযাম্মিল-০৬)
ইমাম কুরতুবী রাহ বলেনঃ-
ﻭﻗﺎﻝ ﺃﻳﻀًﺎ : ﻭﻗﺎﻟﺖ
ﻋﺎﺋﺸﺔ، ﻭﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺃﻳﻀًﺎ، ﻭﻣﺠﺎﻫﺪ : ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻨﺎﺷﺌﺔ ﺍﻟﻘﻴﺎﻡ ﺑﺎﻟﻠﻴﻞ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻨﻮﻡ . ﻭﻣﻦ ﻗﺎﻡ
ﺃﻭﻝ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﻗﺒﻞ ﺍﻟﻨﻮﻡ ﻓﻤﺎ ﻗﺎﻡ ﻧﺎﺷﺌﺔ .
হযরত আয়েশা ও ইবনে আব্বাস রাঃ বলেনঃ "নাশিয়াহ"হল ঘুমের পর
তাহাজ্জুদের নামাজের জন্য দাঁড়ানো। যে ঘুমানো পূর্বে নামাযে দাঁড়াবে সে নাশিয়াহ
হবেনা।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ
ﻓَﺘَﻬَﺠَّﺪْ ﺑِﻪِ ﻧَﺎﻓِﻠَﺔً ﻟَّﻚَ ﻋَﺴَﻰ ﺃَﻥ ﻳَﺒْﻌَﺜَﻚَ ﺭَﺑُّﻚَ ﻣَﻘَﺎﻣًﺎ
ﻣَّﺤْﻤُﻮﺩًﺍ
রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত। হয়ত
বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মাকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন। (সূরা বনি ঈসরাইল-৭৯)
ইমাম কুরতুবী রাহ বলেনঃ
ﻭﺍﻟﺘﻬﺠﺪ ﺍﻟﺘﻴﻘﻆ ﺑﻌﺪ ﺭﻗﺪﺓ،
তাহাজ্জুদ হচ্ছে কিছু ঘুমানোর পর জাগ্রত হওয়া (ও নামাজ পড়া)।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. তাহাজ্জুদ নামাজ যেহেতু নফল নামাজের নিয়তে
পড়তে হয়। আর তাহাজ্জুদ নামাজ ইশার নামাজের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর শেষ রাত্রে পড়া
সুন্নত। আর তা রাত
১২-১২:৩০ এর সময়ের পর থেকে শুরু হয়। সুতরাং আপনি শেষ রাত্রেই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার
চেষ্টা করবেন। আর যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে ইশার নামাজের পরও পড়ে নিবেন। আল্লাহ
তায়ালা চাইলে তাহাজ্জুদের সওয়াব দিয়ে দিতে পারেন ইনশাআল্লাহ। তবে যদি আবার শেষ
রাত্রে জাগ্রত হওয়া সম্ভব হয় তাহলে আবার তখন পড়ে নিলেন।
২. হ্যাঁ, বিতরের পর তাহাজ্জুদের নামাজ
পড়া যাবে।