بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
স্বাভাবিক অবস্থায় হোক বা রাগের অবস্থায় হোক কোনো মানুষকেই নিজের
মতের সঙ্গে মিল না থাকলে ইসলাম বিদ্বেষী বা অবিশ্বাসী কাফের, মুনাফেক ইত্যাদি বিশেষণে
আখ্যায়িত করা যাবে না। যতক্ষণ না ওই ব্যক্তির মাঝে প্রকাশ্য কুফর প্রকাশ না হয়। বরং
অবিশ্বাসী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মসজিদে যাতায়াতকারী, নামাজ-রোজাসহ
ইবাদত-বন্দেগি করা ব্যক্তিকে মুমিন-মুসলমান হিসেবে ভালোবাসাও ঈমানের একান্ত দাবি।
আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون
احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال
النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح
الفقه الاكبر-199
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর,
আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে
মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার
কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}
সুতরাং কারো কোন কাজে
সন্দেহ হলেই তাকে কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক ইত্যাদি বলে প্রচার করা
জায়েজ নয়। প্রথমে উক্ত বিষয়টি যাচাই বাছাই করে সত্যাসত্যি জেনে তারপর ফাতওয়া দিতে হবে।
*যদি কোন ব্যক্তি ইসলামের জরূরিয়্যাতের কোন একটিকে
অস্বিকার করার মাধ্যমে আসলেই কাফের হয়ে থাকে, তাহলে তাকে ব্যাখ্যা
করে মুসলমান বানানোর ব্যার্থ চেষ্টা করা হারাম। একাজ কিছুতেই জায়েজ নয়। এ ব্যাপারে
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন-
أَتُرِيدُونَ أَنْ تَهْدُوا مَنْ أَضَلَّ اللَّهُ ۖ
وَمَنْ يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ سَبِيلًا [٤:٨٨
তোমরা কি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে চাও,যাদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট
করেছেন? আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেন,তুমি
তার জন্য কোন পথ পাবে না। {সূরা নিসা-৮৮}
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/16296/
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. রাগের মাথায় স্বামীকে কাফের বললে স্ত্রীরও কাফের হয়ে যায়
না বরং বিনা কারণে কাউকে কাফের বলা কবিরা গুনাহ। বিধায় স্ত্রীর জন্য আবশ্যক হলো উক্ত
ভুলের জন্য স্বামীর নিকট মাফ চাইবে এবং আল্লাহ তায়ালার নিকটেও উক্ত গোনাহের জন্য ইস্তেগফার
করবে।
২.রাগের মাথায় এজাতীয় কথা উচ্চারণ করা কবীরা গুনাহ ও অত্যন্ত
ঘৃনিত কাজ, যা কোন বিবেকবান ব্যক্তি কখনই করতে পারে না। বিধায় উক্ত সন্তানের জন্য করনীয়
হলো বাবার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং নিজের গোনাহের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট খালেস
দিলে তওবা করা।
৩.আল্লাহর নাম ব্যতিত অন্য কোন কিছুর নামে কসম খাওয়া জায়েয নেই
। তবে যদি কেউ কোরআন স্পর্শ করে কসম খায় তাহলে তা কসম হিসেবেই গন্য হবে এবং উক্ত কসম
ভঙ্গ করলে কাফ্ফারা আদায় করতে হবে। সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে ছেলের উপর কসম ভঙ্গ
করার কারণে কাফ্ফারা আদায় করা ওয়াজিব। কাফ্ফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ভিজিট
করুন: https://www.ifatwa.info/1808/