بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/13551/ নং ফাতওয়াতে আমরা
উল্লেখ করেছি যে, মুমিনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক মুল্যবান। সময় পেলেই নফল ইবাদত,নেক কাজে মশগুল থাকা দরকার।
সুরা মুনাফিকুন এর ১০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اَنۡفِقُوۡا مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ
اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ رَبِّ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ
اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ
আর আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর, তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে। কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব,
যদি আপনি আমাকে আরো কিছু
কাল পর্যন্ত অবকাশ দিতেন, তাহলে আমি দান-সদাকা করতাম।
আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«اغتنم خمسا قبل خمس: شبابك قبل هرمك، وصحتك قبل سقمك،
وغناك قبل فقرك، وفراغك قبل شغلك، وحياتك قبل موتك »
“তোমরা পাঁচটি জিনিসকে
পাঁচটি জিনিসের পূর্বে গণিমত-সুবর্ণ সুযোগ- মনে কর। তোমার যৌবনকে কাজে লাগাও বার্ধক্য
আসার পূর্বে, তোমার সুস্থতাকে কাজে লাগাও তোমার
অসুস্থতার পূর্বে, তোমার সচ্ছলতাকে কাজে
লাগাও অসচ্ছলতার পূর্বে, তোমার অবসরতাকে কাজে লাগাও
তোমার ব্যস্ততার পূর্বে, আর তোমার হায়াতকে কাজে
লাগাও তোমার মৃত্যু আসার পূর্বে”।
বর্ণনায় হাকিম,
হাদিস: ৭৮৪৬ তিনি হাদিসটিকে
সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। হাদিসটি বুখারি ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যে শিক্ষা মানুষের কল্যাণে উপকারে আসে না, তা শিক্ষা নয়। যে শিক্ষা দুনিয়ার শান্তি ও পরকালে মুক্তির সহায়ক, তাই প্রকৃত শিক্ষা। ইসলামি শিক্ষার প্রতিপাদ্য বিষয় হলো বিশ্বভ্রাতৃত্ব, মানবকল্যাণ,
ত্যাগ ও বিনয়। যদি কোনো
শিক্ষা হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ও অহংকার উদ্রেক করে,
সে শিক্ষা মূর্খতা ও অজ্ঞতা
ছাড়া কিছুই নয়। সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা
রক্ষায় মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং আদর্শ গুণাবলিসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি ইসলামি
শিক্ষার উদ্দেশ্য।
★ ইংরেজী বা বাংলা সাহিত্য
সহ সকল যেকোন জেনারেল বিষয়ে পড়ার জন্য শর্ত হচ্ছে দুটি: প্রথমত, অশ্লীল ও যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন কিছু হতে পারবে না। কারণ, এগুলো পড়লে এর মাধ্যমে আপনি নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবেন।
অনেক গল্প আছে, যেগুলোতে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য
অনৈতিক কথাবার্তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে,
ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের কোনো বিষয় যদি
সেখানে এসে যায়, তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে। যেমন শিরক
শিক্ষা দিচ্ছে, যৌনতার শিক্ষা দিচ্ছে, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছে, যদি এমনি কিছু সেখানে থাকে,
তাহলে সেগুলো পড়বেন না।
বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/8981/
★★ ইংরেজী সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশুনা করে যদি ঈমান ও আক্বীদাগত দিক
থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাবোধ করে তাহলে তা জায়েয হবে না । তবে শরয়ী বিষয়ের সাথে
সাংঘর্ষিক বিষয়কে এভয়েট করে দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে যদি কেউ ইংরেজী সাবজেক্ট নিয়ে
পড়াশুনা করা যেতে পারে। তবে উদ্দেশ্য থাকতে হবে যে,
উক্ত ভাষা শিখে তার মাধ্যমে
বিশ্বব্যাপী দাওয়াতী কাজ করবে।তবে আপনি যদি রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করতে চান এবং
তাতে যদি উল্লেখিত শর্তসমূহ পাওয়া যায় তাহলে তাও আপনার জন্য জায়েয।