আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
ASSALAMUALAIKUM...
আমরা জানি দেশের প্রচলিত ইসলামি ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত মুনাফায় কনফিউশন আছে। অনেক আলেমের মত ইহা হালাল নয়।
আবার অনেক আলেমের কথা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় income tax নেয়া জায়েজ নয়। মাফ করবেন সঠিক রেফারেন্স দিতে পারবোনা। কোথাও শুনেছি বা পড়েছি, ভুলে গিয়েছি।
এখন আমার প্রশ্ন হলো আমি এই ইসলামি ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত মুনাফা দিয়ে ইনকাম ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবো?? এটা কি হালাল হবে?? যেহেতু দুইটা বিষয়ের একই অবস্থা... আশা করি আমার প্রশ্ন বুঝাতে সমর্থ হয়েছি।
আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য অগ্রিম Jazakallahu Khairan

1 Answer

+1 vote
by (63,240 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব ,

সুদ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

اَلَّذِیْنَ یَاْكُلُوْنَ الرِّبٰوا لَا یَقُوْمُوْنَ اِلَّا كَمَا یَقُوْمُ الَّذِیْ یَتَخَبَّطُهُ الشَّیْطٰنُ مِنَ الْمَسِّ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمْ قَالُوْۤا اِنَّمَا الْبَیْعُ مِثْلُ الرِّبٰوا ۘ وَ اَحَلَّ اللهُ الْبَیْعَ وَ حَرَّمَ الرِّبٰوا  فَمَنْ جَآءَهٗ مَوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّهٖ فَانْتَهٰی فَلَهٗ مَا سَلَفَ  وَ اَمْرُهٗۤ اِلَی اللهِ  وَ مَنْ عَادَ فَاُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ النَّارِ هُمْ فِیْهَا خٰلِدُوْنَ.

যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামতের দিন) সেই ব্যক্তির মতো দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে, তারা বলে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। যার নিকট তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তবে অতীতে যা হয়েছে তা তারই। আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় করবে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে। সেখানে তারা হবে চিরস্থায়ী। -(সূরা বাকারা-২৭৫)

উলামায়ে কেরাম ইসলামী ব্যাংকের মুনাফাকে সন্দেহযুক্ত বলে থাকেন, বিধায় তা গ্রহণ করা যাবে না। তবে উক্ত টাকা যে কোন জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা যাবে। সেই সাথে দারিদ্র আত্মীয়দেরও দান করা যাবে। তবে এমন আত্মীয়দের দেয়া যাবে না যাদের যাকাত দেয়া জায়েজ নয়।

 

 

*ট্যাক্স সম্পর্কে চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " (৩৫/১৪)  এভাবে বর্ণিত রয়েছে যে,

ذَهَبَ الْفُقَهَاءُ إِلَى أَنَّ لِلإْمَامِ فَرْض َضَرَائِبَ عَلَى الْقَادِرِينَ لِوُجُوهِ الْمَصَالِحِ الْعَامَّةِ وَلِسَدِّ حَاجَاتِ الْمُسْلِمِينَ

قَال القرطبي: اتَّفَقَ الْعُلَمَاءُ عَلَى أَنَّهُ إِذَا نَزَلَتْ بِالْمُسْلِمِينَ حَاجَةٌ بَعْدَ أَدَاءِ الزَّكَاةِ فَإِنَّهُ يَجِبُ صَرْفُ الْمَال إِلَيْهَا

 .(١) القرطبي ٢ / ٢٤٢، وابن عابدين ٢ / ٥٧

الموسوعة الفقهية الكويتية ٣٥/١٤

ভাবার্থঃ মহামান্য ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন যে, সরকার জনসাধারণের সেবা ও বিভিন্ন প্রয়োজন মিটাতে উপার্জন সক্ষম নাগরিকদের উপর ট্যাক্স অত্যাবশ্যকীয় করতে পারবে,বৈধ রয়েছে।

ইমাম কুরতুবী রাহ উদ্ধৃতিতে বলা হয় যে, তিনি বলেন,সম্পদশালী নাগরিকগণ যাকাত প্রদাণের পরও মুসলিম জনসাধারণের আর্থিক ঘাটতি দেখা দিলে  সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ট্যাক্স প্রদান করা তাদের উপর ওয়াজিব।(তাফসীরে কুরতুবী-২/২৪২ , রদ্দুল মুহতার-ইবনে আবেদিন;২/৫৭)

সংক্ষেপে আমরা বুঝলাম যে,আয়কর বা ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে হলে জনগণনের উপর তা আদায় করা ওয়াজিব।যাকাতের মতই আবশ্যক পালনীয়। যদিও আয়করের বিধান শর্তসাপেক্ষ্য তথা ব্যায়খাত লক্ষণীয় একটি বিষয়।এবং যাকাত থেকে কিছুটা শীতিলযোগ্য। তবে ট্যাক্স আদায় করতে হবে আপনার বৈধ সম্পদ থেকে । যেহেতু সুদের টাকার মালিক আপনি নন বিধায় উক্ত সুদের টাকা থেকে ট্যাক্স কেটে নেওয়া বৈধ হবে না। ট্যাক্স কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত একটি বিষয়।তাকে অস্বিকার করা যাবে না।

ট্যাক্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5365

https://www.ifatwa.info/700


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...