আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in সালাত(Prayer) by (102 points)
১)নামাজের ওয়াক্তের মধ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব। কারও যদি কোনো ওয়াক্তের নামাজ কাযা হয় তাহলে আগে কাযা আদায় করতে হয় পরে ওয়াক্তের নামাজ ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে হয়।

এখন প্রশ্ন হলো কেউ যদি জেনেশুনে নামাজের এক ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে তাহলে কি তার নামাজ হবে?তার নামাজ কি পুনরায় আদায় করতে হবে?

২)এক ব্যাক্তি জেনেশুনে কাযা নামায বাকি রেখে ওয়াক্তের নামাজ পড়লো।তার কোনো ওজর ছিল না অলসতা করে কাযা নামাজ পড়লো না।সেই ব্যাক্তি ইমামতি করলে তার পিছে নামাজ শুদ্ধ হবে?

৩) আপনাদের এক ফতোয়ায় দেখেছি কারও ফজর কাযা হলে আগে ফজর আদায় করতে হবে পরে জোহর পড়তে হবে। যোহরের ওয়াক্ত শেষের দিকে হলেও আগে কাযা আদায় করতে হবে।কিন্তু আমি এর আগে যে প্রশ্ন করেছিলাম তার উত্তরে আপনারা বলেলন ওয়াক্ত শেষের দিকে হলে আগে ওয়াক্তের নামাজ পড়বে পরে কাযা পড়বে।কোনটা করব?

৪)আমার প্রায়ই নামাজে সালাম ফিরানোর সময় আসসালামু আলাইকুম বলার সময় অলাইকুম এর আইন উচ্চারণে সন্দেহ হয় আলিফের মত হলো কি না।তাই আলাইকুম এর আ মাঝে মাঝে সংশোধনের জন্য দুইবার উচ্চারণ করি।এতে কি নামাজ শুদ্ধ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/5512 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত  নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।

যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে,তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?
এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।

সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব।অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।

(২)
যদি তার অনেক নামায কাযা থাকে, তাহলে তার পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে।নতুবা তার পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না।

(৩)
আমাদের ফাতাওয়ার প্রথম অংশটা পড়েন।

(৪)
প্রশ্নের বিবরণমতে যেহেতু অর্থ বদলে যায়নি, তাই আপনার নামায বিশুদ্ধ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 214 views
...