আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্।
১)আমাদের একজন শিক্ষক ক্লাসে একটি বই দেখিয়ে বলেছিলো সেটা কারো দরকার কিনা।একজন হাত উঠালে তাকে বইটা দিয়ে দেন।অতঃপর আরো কয়জন মজা করে অন্যায় হয়েছে বলে দাবি করাতে স্যারও যাকে বই দিয়েছিলো তাকে মজা করে বলছিলো সবাইকে চকলেট খাওয়াতে।পরবর্তীতে সে সবাইকে চকলেট খাওয়ায়।
★এখন এটি কি ঘুষ হয়েছে?চকলেট খাওয়নো
বই দেওয়ার শর্ত ছিলো না, শুধুমাত্র একজনকে দেয়ার ফলে অন্য ক'জন বললে স্যার মজা করেই সবাইকে চকলেট খাওয়াতে বলেছিলেন
★যারা চকলেট কিনতে হেল্প করেছে বা চকলেট খেয়েছে সেটা কি হারাম কাজ হয়েছে?
২)খাওয়ার সময় একপাশ থেকে না খেয়ে পুরো ভাত মাখিয়ে খাওয়া কি সুন্নতের খেলাফ?
৩)এক্ষেত্রে একপাশ থেকে খাওয়া সুন্নত বলতে কি নিজের প্লেট থেকে একপাশ থেকে খাওয়া বুঝানো হয়েছে নাকি অনেকজন একসাথে খেলে একপাশ থেকে খাওয়া বুঝানো হয়েছে?
৪)এ ধরণের সোয়েটার মেয়েরা পরতে পারবে?পরলে কি বিজাতীয় সংস্কৃতি ফলো করা হবে?
★
https://photos.app.goo.gl/4n9cUbEVGzjdHPxd9
★
https://photos.app.goo.gl/31iDEqbRC6kg165T8
৫)পরীক্ষার সময় কি কারো কাছে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা যাবে নাকি নিজে যা পারি তাই লিখতে হবে?
৬)অযু করার পর স্বাভাবিক সময়ে (নামাজরত অবস্থায় নয়)উচ্চস্বরে হাসলে কি অযু ভেঙে যাবে? আমি শুনেছি নামাজরত অবস্থায় হাসলে ভেঙে যায়
৭)নিন্মোক্ত লেখাটি কি সঠিকঃ
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন: হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোনো এক ব্যক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কীভাবে হতে পারে? জবাবে তিনি বলেছিলেন যে, “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেনো তার স্ত্রীর মাসিক ঋতুস্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোনো মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে ও সেই শয়তান দ্বারা ওই মহিলা গর্ববতী হয় এবং হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলামে বলা হয় “খুন্নাস”)। তথ্য: সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান , ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।
আরেক হাদিসে হিজরা জন্মের হেকমত উল্লেখপূর্বক আলোচনা এভাবে এসেছে যে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে একবার জিজ্ঞাসা করা হল,হিজরা কেন জন্ম নেয়? তদুত্তরে ইবনে আব্বাস বললেন, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে যখন স্বামী তার সাথে সহবাস করে, তখন শয়তান ঐ যৌনমিলনে আগে আগে থেকে উক্ত ব্যক্তির সাথে যৌনকার্যে শরিক হয়,এবং শয়তানের বীর্য ঐ মহিলার গর্ভে গিয়ে পৌছে,যার ফলে হিজরা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। (ত্বরতুসী-কিতাবু তাহরীমিল ফাওয়াহিশ)
বৈজ্ঞানিকভাবেও দেখা যাচ্ছে হিজড়া সন্তানের সেক্স ক্রোমোজোম প্যাটার্ন XXY, XYY. যেখানে মায়ের থেকে পাওয়া X ও বাবার থেকে পাওয়া Y বা X ক্রোমোজম মিলে মহিলার XX এবং পুরুষের XY সেক্স ক্রোমোজম সৃষ্টি হয়। তাহলে এই অতিরিক্ত Y ক্রোমোজম কার? এই প্রশ্নে তৃতীয় কোনো জ্বীন কিংবা শয়তানকে দায়ী করলে উত্তর সহজেই মিলে যায়।
সুতরাং, হিজড়া সন্তান কেন হয় সেবিষয়ে বৈজ্ঞানিক ও ইসলামিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে আমরা জানলাম। বিজ্ঞান আমাদের কিছু প্রতিকার দিলেও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানাতে পারেনি। তবে ইসলাম সুস্পষ্টভাবে প্রতিরোধ সম্পর্কে বর্ণনা করেছে।
#collected
৮)নিন্মলিখিত সবগুলো পয়েন্ট কি বিদআত?
⭕⭕⭕ বিদাত লিস্টঃ
যাদের জানা দরকার তারা জেনে নিন।যারা জেনে মানবেন না তারা তর্ক থেকে দূরে থাকেন।আর তর্ক করতে চাইলে দলিল নিয়ে আসেন।
❌ ওজু শেষ পশ্চিম আকাশের দিকে সাহাদাত আঙ্গুল তুলে দুআ বলা।
❌ দরুদে মাহি, দরুদে হাজারি, দরুদে লাঠি ইত্যাদি দরুদ পড়া।
❌ তিন বা পাঁচ লাখ কালেমা খতম করা। (মৃত্যু ব্যক্তির জন্য অথবা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য)।
❌ বিশেষ চাহিদা বা মনের আসা পুরনের জন্য ৪০ দিনের যে কোন আমল করা।
❌ দুআ ইউনুষ খতম করা।
❌ কালেমা খতম করা।
❌মৃত ব্যক্তির পাশে বসে কুরআন খতম দেয়া।
❌ দরূদে মুকাদ্দাস, দরূদে মাহী , দরূদে তাজ, দরূদে তুনাজ্জিনা, দরূদে নারী, দরূদে সায়াদাত, দরূদে কামালিয়া। আরো অনেক আছে।
❌ মিলাদ পড়া।
❌ শবে বরাত পালন করা।
❌ শবে মেহরাজ পালন করা।
❌ হুযুর ডেকে এনে কুরআন খতম পড়া।
❌ হুযুরদের ডেকে এনে খতমে ইউনুস পড়া।
❌হুজুর ডেকে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের খতম পড়া।
যেমনঃ- কালিমা খতম, দরুদ খতম।
❌ দল বেঁন্দে উচ্চসরে যিকির করা।
❌ নামাযে নাওয়াই তুআন পড়া।
❌ নামাযের মুছল্লায় ইন্নি ওয়াজজাহতু পড়া।
❌ ফরজ নামাজের পরে দল বদ্ধ ভাবে মুনাজাত করা।
❌ রোযার সময় নাওয়াতুআন আছুম্মাগাদাম পড়া।
❌ কদম বুসি করা।
❌ ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা ।
❌ শুক্রবার ৮০ বার দরুদে ইব্রাহিম পড়া।
❌ নাবী (সঃ) কে দাড়িয়ে সালাম দেয়া।
❌ নামাজ শেষে জাইনামাজে চুমু খাওয়া।
❌ ঔষধ খাওয়ার আগে "আল্লাহ্ শাফী..." বলা।
❌ বিবাহ বার্ষিকী পালন করা।
❌ মৃত মা বাবার জন্য দুই রাকাত নামাজ পড়া।
❌ মনগড়া প্রাত্যহিক নামায ও তার খেয়ালী সওয়াব
❌ বিভিন্ন মাসের খেয়ালী নামাজ পড়া
❌ ওজুর সময় প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করার সময় আলাদা আলাদা দুআ বলা।
❌ ওজুর পর সূরা কদর পড়া।
❌ আজানের দুআর সাথে "ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ" এই টুকু যোগ করা।
❌ ফজর নামাজের পর ১৯ বার ‘বিসমিল্লাহ’ বলা।
❌ ওযূর পানি পাত্রের মধ্যে পড়লে উক্ত পানি দ্বারা ওযূ হবে না বলে বিশ্বাস করা
❌ তারাবিতে চার রাকাত অন্তর দোয়া পরা।
❌ তাওবা খতম করা।
❌ দলবেধে পারা ভাগ করে কোর-আন খতম।
❌ সাত সালাম।
❌ খতমে খাঞ্জেখান।
❌ আযান ইকামতের মধ্যে বা অন্য যেকোনো সময় রাসুল সা. এর নাম শুনলে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাগানো।
❌ সূরা ইয়াসিন খতম দেয়া।
❌ মাসিক/মেস্ন/পিরিয়ড অবস্থায় রোজা রাখা।
❌ রমজান মাসে কুরআন পড়ে অন্যর জন্য বক্সিয়ে দেয়া।
[ রেফারেন্স নেই বলেই এসব বিদ'য়াত।
বিদ'য়াতের রেফারেন্স হয়না।
যদি এগুলো সহীহ আমল হতো তাহলে অবশ্যই এগুলোর রেফারেন্স থাকতো। ]
©
৯)যদি অনেক প্রয়োজন হয় তাহলে কি আমি ifatwa তে এক মাসে ৪ টার অধিক প্রশ্ন করতে পারি,করলে কি গুনাহ হবে?
১০)এক মাসে ৪ টার অধিক প্রশ্ন করার দরকার হতে পারে এটার জন্য কি আমি একাধিক একাউন্ট ইউজ করে প্রশ্ন করতে পারি?এটি কি প্রতারণা হবে?গুনাহ হবে কি?
জাযাকুমুল্লাহ খায়ের