আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (102 points)
edited by
১) বর্তমানে অনেকে ফেসবুক কুরআনের আয়াত দিয়ে প্রচার করছে যে ভবিষ্যতের বিষয় একমাত্র আল্লাহ জানেন।

তাই কেউ যদি এমন বলে যে তোর কপালে দুঃখ আছে তাহলে নাকি শিরক হবে।

এই কথা কতটুকু সত্য?

২) একজায়গা দেখলাম ডানে/সামনে থুথু ফেলানো নাকি নিষেধ।এটা কি সঠিক?যদি ডানে বা সামনে কিবলা না হয় তাও থুথু ফেলা যাবে না?

৩) আমদের মসজিদ অনেক বড়। মসজিদে ওয়াক্তের নামাজে মাত্র ৩-৪ কাতার মানুষ হয়।তাই সামনে পর্যন্ত যে হেঁটে যেতে হয় এখানে মসজিদে প্রবেশের পর থেকেই নামাজ পড়ার পাটি বিছানো।আর প্রত্যেকটা পাটিতে মসজিদের নকশা আকা।এখন মসজিদে প্রবেশের পর ফাঁকা কোনো জায়গা নাই পুরো মসজিদ এই পাটি বিছানো।এখন এই মসজিদের নকশার উপর পা লাগলে কি গুনাহ হবে?

৪) কিবলার দিকে পা টান করে দিলে গুনাহ হয় জানি।কিন্তু যদি পা ভাঁজ করে বসি আর পায়ের পাতা কিবলার দিকে হয় তাহলে কি গুনাহ হবে?

৫) জীবনে ৬ ওয়াক্তের বেশি নামাজ কাযা না হলে নামাজে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা ওয়াজিব জানি।

কেউ যদি জেনেশুনে কাযা নামায বাকি রেখে ওয়াক্তের নামাজ পড়ে তাহলে কি তার নামাজ বাতিল হবে?কেউ জেনেশুনে যদি এমনটি করে তাহলে তার নামাজ কি আবার পড়তে হবে?

৬)কারও যদি আসর কাযা হয়।এবং দেখা যায় মাগরিব এর ওয়াক্ত কিছুক্ষণ আছে। আসরের কাযা পড়তে গেলে মাগরিব এর ওয়াক্ত চলে যাবে। তখন কি আগে মাগরিব পড়তে পারবে নাকি কাযা নামায আগে পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
গায়েবের খবর একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই জানেন,অন্য কেউ তাহা জানেননা।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ

অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আসমান-যমীনে অন্য কেউ অদৃশ্যের জ্ঞান রাখেনা। এবং তারা জানে না কখন তারা উত্থিত হবে। (সূরা নামল, আয়াত-৬৫)

قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ

অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধন-ভান্ডার রয়েছে। এবং আমি গায়েব জানি না, এবং আমি তোমাদের এটাও বলিনা যে, আমি একজন ফেরেশতা। আমার নিকট যা প্রত্যাদেশ হয় আমি কেবল তারই অনুসরন করি। (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৫০)

এমনকি রাসুলুল্লাহ সাঃ ও গায়েব জানেননা।  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عن عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الغَيْبَ، فَقَدْ كَذَبَ، وَهُوَ يَقُولُ: لاَ يَعْلَمُ الغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ»

অর্থ: হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে নবীজি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গায়েব জানেন, সে মিথ্যাবাদী। কারণ নবীজি (স.) নিজেই বলতেন, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কেউ গায়েব জানে না। (সহীহ বুখারী-৭৩৮০)

এক হাদিসে এসেছে, 'যে ব্যক্তি কোনো গণক বা জ্যোতিষীর কাছে গেল এবং সে যা বলল, তাই বিশ্বাস করল, তাহলে সে মুহাম্মদের ওপর নাজিলকৃত শরিয়তের সঙ্গে কুফরি করল'- (আবু দাউদ : ৩৯০৪, ইবনে মাজাহ : ১৩৫)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কাহারো সার্বিক পরিস্থিতি,তার বর্তমান কাজ অতিতকালীন কর্ম পরিস্থিতি,নির্ভরযোগ্য কিছু বিষয় ইত্যাদি অনুপাতে বলা হয় যে ""তোর কপালে দুঃখ আছ"
আর এটি কেহ পুরোপুরি শিউর দিয়ে বলেনা,সম্ভাবনার স্থান থেকেই বলে।
তাই এটি বলা শিরক নয়।

তবে এটি শিরকের কাছাকাছি বাক্য হওয়ায় এবং অনেকাংশে শিরক হয়ে যাওয়ার কারনে এহেন বাক্য বলা থেকে হেফাজতে থাকতে হবে।
,
(০২)
এতে কোনো সমস্যা নেই।  

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত মসজিদের নকশার উপর পা লাগলে গুনাহ হবেনা।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৪)
এর থেকেও  সতর্কতা কাম্য।

(০৫)
যদি এক্ষেত্রে তার জীবনের ৬ ওয়াক্তের কম নামাজ কাজা থাকে,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত নামা তার হবেনা।
নতুবা হবে।
,
(০৬)
এক্ষেত্রে সে মাগরিবের নামাজ আদায় করবে।
তারপর কাজা নামাজ আদায় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...