জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে মূল মাসয়ালা হলো
হারাম সম্পদ ভক্ষন কারীর ইবাদত দোয়া কবুল হয়না।
,
কেহ যদি হারাম সম্পদ বা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে,তবে অন্য কোনো হালাল টাকা থেকে খায়,তাহলে তার ইবাদত,দোয়া কবুল হওয়াতে সমস্যা হবেনা। বা হারাম কাজে লিপ্ত থাকলেও সে এই হুমকির অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে মূল মাসয়ালা হলো
হারাম সম্পদ ভক্ষন কারীর ইবাদত দোয়া কবুল হয়না।
কেহ যদি হারাম সম্পদ বা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে,তবে অন্য কোনো হালাল টাকা থেকে খায়,তাহলে তার ইবাদত,দোয়া কবুল হওয়াতে সমস্যা হবেনা। বা হারাম কাজে লিপ্ত থাকলেও সে এই হুমকির অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি হারাম সম্পদ বা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে থাকেন,ইহা থেকে ভক্ষনও করে থাকেন,তাহলে আপনার দোয়া,ইবাদত কবুল হবেনা।
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
(معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি
হারাম পন্থায় উপার্জন ছেড়ে দিয়ে আস্তে-ধীরে সে হারাম সম্পদ গুলো ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।
,
আর যদি আপনি হারাম সম্পদ বা হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন না করে থাকেন,বরং কোনো গুনাহে লিপ্ত থাকেন,অন্যের হক নষ্ট করে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনার দোয়া,ইবাদত কবুল হওয়ার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবেনা।
আল্লাহর কাছে হারাম উপায় অবলম্বনে সম্পদ অর্জন এবং হারাম সম্পদ ভোগ করার ফলে যে গুনাহ হয়েছে তার জন্যে মাফ চাইলে মাফ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সেই পরিমান টাকা সদকাহ করে দিলেই কেবল মাফ হবে।
তবে আপনি যদি আর হারাম সম্পদ না খান,তাহলে এই মুহুর্তে যেহেতু আপনি হালাল খান,তাই খালাল খাওয়ার সময়কালীন আপনার ইবাদত কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ।
বছরের পর বছর আমার দোয়া কবুল হবে না,বিষয়টি এমন নয়।
মাসয়ালা হলো হারাম সম্পদ ভক্ষনকালীন সময়ে আপনার দোয়া, ইবাদত কবুল হবেনা।