জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
এক্ষেত্রে বিধান হলো যদি কাহারো সাদা স্রাব আসে,আবার বন্ধ হয়,তাহলে তার জন্য প্রত্যেক ওয়াক্তে নামাজে কাপড় চেঞ্জ করে বা পবিত্র করে অযু করে নামাজ আদায় করতে হবে।
আর যদি কাহারো সাদা স্রাব আসা জারী হয়,চলতেই থাকে,তাহলে সে মা'যুর হবে।
কাপড় চেঞ্জ না করে কেবল অজু করেই কি সালাত আদায় করা যাবে।
প্রত্যেক ওয়াক্তে শুধু অযু করতে হবে।
,
আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ
উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’
لقولہ صلی اللہ علیہ وسلم: ”المستحاضة تتوضَّأ لوقت کل صلاة․․․ ویصلون بہ أي بوضوئہم في الوقت ماشاوٴوا من الفرائض الخ (حاشیة الطحطاوی علی المراقی: ۱۴۹، باب الحیض، ط اشرفی)
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,ইস্তেহাযা ওয়ালা মহিলা নামাজের প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য অযু করবে।
আর ঐ অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তে যত ইচ্ছা ফরজ,নফল নামাজ আদায় করতে পারবে।
আরো জানুনঃ
যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত কাহারো এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,সাদা স্রাব আসার কারণে ফরয নামায পড়া তার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে সেই মহিলা মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবে না।
সেই মহিলা মা'যুর কিনা,জানার জন্য এক কাজ করবেঃ-
একটু কষ্টকরে নামাযের সবচেঁয়ে সংক্ষিপ্ত ওয়াক্ত আছর কিংবা ফজরের ওয়াক্তে একদিন পরীক্ষা করবে যে,এই সংক্ষিপ্ত ওয়াক্তে তিনি ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতীত কি ফরয দু'রাকাত বা চার রা'কাত নামায পড়তে পারছেন।যদি তিনি সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতীত ফরয আদায় করতে না পারেন,তাহলে তাকে মা'যুর হিসেবে গণ্য করা হবে।আর যদি তিনি নামায পড়ে নিতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে তাকে মা'যুর গণ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে তাকে কষ্ট করে নামায পড়তে হবে।
এভাবে যে,যখনই মনে সাদাস্রাব নির্গত হওয়ার সন্দেহ জাগবে,তখন তিনি টিস্যু বা কাপড় ইত্যাদিকে দেখবে যে,সত্যিই কি সাদাস্রাব নির্গত হচ্ছে।যদি নির্গত হয়,তাহলে তিনি অজু করে এসে আবার নামায পড়ে নিবে।
আরো জানুনঃ