আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in সালাত(Prayer) by (29 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার ছোট ভাই ৪/৫ দিন ধরে অসুস্থ। দুর্বল। এখন কিছুটা সুস্থ কিন্তু দূর্বলতা ক্লান্তি রয়েছে। এছাড়া তার টানা বমি হচ্ছে দুইদিন ধরে। এখন হচ্ছেনা কিন্তু সে ভয় পাচ্ছে যেকোন সময় বমি হবে। হাঁটার শক্তি পাচ্ছেনা।

যদিও আমাদের বাসা থেকে মসজিদের দূরত্ব একদমই কম তাও আমার ভাইয়ের কথামতো তার জন্য এতটুকু পথই হাঁটা সম্ভব না এতটাই দূর্বল সে। আর যেকোন সময় বমি হয়ে যেতে পারে এটাও ভয় পাচ্ছে। এমন অবস্থায় কি জুমার নামাজ না পড়ে বাসায় সালাত পড়া জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1365 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
(فَلَا تَجِبُ عَلَى مَرِيضٍ وَمُقْعَدٍ وَزَمِنٍ وَمَقْطُوعِ يَدٍ وَرِجْلٍ مِنْ خِلَافٍ) فَقَطْ، ذَكَرَهُ الْحَدَّادِيُّ (وَمَفْلُوجٍ وَشَيْخٍ كَبِيرٍ عَاجِزٍ وَأَعْمَى) وَإِنْ وَجَدَ قَائِدًا (وَلَا عَلَى مَنْ حَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا مَطَرٌ وَطِينٌ وَبَرْدٌ شَدِيدٌ وَظُلْمَةٌ كَذَلِكَ) وَرِيحٌ لَيْلًا لَا نَهَارًا، وَخَوْفٌ عَلَى مَالِهِ، أَوْ مِنْ غَرِيمٍ أَوْ ظَالِمٍ، أَوْ مُدَافَعَةُ أَحَدِ الْأَخْبَثَيْنِ، وَإِرَادَةُ سَفَرٍ، وَقِيَامُهُ بِمَرِيضٍ، وَحُضُورُ طَعَامٍ (تَتَوَقَّهُ) نَفْسُهُ ذَكَرَهُ الْحَدَّادِيُّ، وَكَذَا اشْتِغَالُهُ بِالْفِقْهِ لَا بِغَيْرِهِ، كَذَا جَزَمَ بِهِ الْبَاقَانِيُّ تَبَعًا لِلْبَهْنَسِيِّ: أَيْ إلَّا إذَا وَاظَبَ تَكَاسُلًا فَلَا يُعْذَرُ،
সুতরাং অসুস্থ ব্যক্তি,বিকলাঙ্গ, দীর্ঘদিন যাবৎ রোগাক্রান্ত, হাত বা পার কোনো একটি কর্তিত ব্যক্তির উপর জামাত ওয়াজিব নয়।এগুলো হাদ্দাদি রাহ উল্লেখ করেছেন।ঠিক তেমনি শরীরের কোনো সাইট অচেতন ব্যক্তি এবং বয়োঃবৃদ্ধ অক্ষম ও অন্ধ ব্যক্তির উপর জামাত ওয়াজিব নয়।যদিও তাদেরকে মসজিদে নিয়ে যাওয়ার মত লোক থাকুক না কেন।ঠিক তেমনি বৃষ্টি, কাদা,কনকনে শীত,বা অন্ধকার যদি কোনো মানুষকে মসজিদে যেতে বাধা প্রদাণ করে তাহলে তখন দাদের উপরও জামাত ওয়াজিব নয়।রাত্রে প্রবল বাতাশ থাকলে ও জামাত ওয়াজিব নয়।নিজের মালে ক্ষতির আশংকা থাকলে, বা নিজে ঋণী থাকলে(এমন ঋণ যা পরিশোধের সামর্থ্য বর্তমানে নেই)বা জালিমের ভয় থাকলে কিংবা দুই ক্ষতির মধ্যে বড় ক্ষতিকে প্রতিহত করতে জামাত তরক করা যাবে।কেননা তখন তাদের উপর জামাত ওয়াজিব নয়।সফরের ইচ্ছা করলে বা অসুস্থ ব্যক্তির সেবার কারণে বা এমন খাদ্যর উপস্থিতিতে যার চাহিদা বর্তমানে অন্তরে রয়েছে,জামাত তরক করা যাবে।এগুলো হাদ্দাদি রাহ উল্লেখ করেছেন। ঠিকতেমনি ফিকহের সাথে মশগুল থাকার কারণে জামাত তরক করা যাবে।তবে যদি কোনো মুফতী অলসতা বসত এটাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন,তবে তখন জমাতকর তরক করা জায়েয হবে না।(আদ্দুর্রুল মমুখতার-১/৫৫৫)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু অসুস্থ অবস্থায় জামাত ওয়াজিব নয়, আর যার উপর জামাত ওয়াজিব নয়, তার উপর সাহু জুমুআহ ও ওয়াজিব হবে না। সুতরাং আপনার ভাইয়ের উপর জুমুআহ ওয়াজিব হবে না।উনি বাসায় জোহরের সালাত আদায় করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 287 views
0 votes
1 answer 168 views
...