১)ধরুন,
আমাদের ডাইনিং এ আল্লাহর নাম লেখা একটি ছবি আছে
আমি একদিন আমি একদিন ডাইনিং রুমে বসে দোয়া করছিলাম আল্লাহর কাছে
হঠাৎ আমার মনে হলো আমি মনে হয় আল্লাহর নামের কাছে দোয়া করছি
তাই শির্কের আশঙ্কায় আমি ওই ছবিটি ডাইনিং রুম থেকে সরিয়ে ফেললাম
আবার আমাদের বাসায় একটা বিড়াল আছে, মাঝেমধ্যে দোয়া করতাম অর্থাৎ শিরক হত, এখন আমি তওবা করেছি, কিন্তু বিড়ালটা কে আমি আমাদের বাসা থেকে বের করে দেইনি আমি এখনও ওর সাথে খেলা করি, ওটাকে আমার খুব ভালো লাগে
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে আমি শিরকের আশংকায় আল্লাহর নাম লেখা ছবি সরিয়ে রাখলেও, শিরক করার পরও বিড়াল কে ত্যাগ করি নি(যদিও তাওবা করেছি শিরকের জন্য)
এতে কি বিড়ালকে আল্লাহর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে বা শিরক হচ্ছে??
আমি কি ওই বিড়াল এর সাথে খেলতে পারব নাকি ওকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া লাগবে?
২)আমার একটা মেয়ে কে ভালো লাগে
বিয়ে করতে চাই
এখন শিক্ষার্থী দুইজনই
কিছু দিন পর বিয়ে করতে চাই
তাকে ফেসবুকে আনফ্রেন্ড করে দিছি
কিন্তু ব্লক করি নি
সেদিন নামাযের সময় তার কথা মাথায় আসলো, নামায পরতে অসুবিধা হচ্ছিল,কিন্তু তাও আমি তাকে ব্লক করি নি
এই যে নামাযে অসুবিধা হওয়ার পরও তাকে ব্লক করি নি এজন্য তখন আমার মনে সন্দেহ হইল যে এটা হয়তো শিরক হয়ে গেল
তার পর আপনাদের সাইটে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম যে এটা শিরক না
কিন্তু আমার মনে সেদিন থেকে সন্দেহ হয়েই যাচ্ছে
খালি মনে হচ্ছে যে আমি মনে হয় ভালোবাসার ক্ষেত্রে শিরক করে ফেলছি
কিছুদিন আগে আমার মাথায় আসলো যে হয়ত অমুক ভাবে আমি শিরক করছি ওর ব্যাপারে, কিন্তু এখন আর মনে পরছে না যে কি উপায় মাথায় আসছিল
তাই আপনাদেরকে প্রশ্ন করতে পারছি না
আর ওই মেয়ে কে কি বিয়ে করা যাবে নাকি এখনই ব্লক মেরে,ফোন নাম্বার ডিলিট করে চিরদিনের জন্য ভুলে যাওয়া উচিত??
যদি ওই মেয়ে কে বিয়ে করি তবে কি শিরক বা গুনাহ হবে??
(উল্লেখ্য আমরা ফেসবুকে কথা বলি না)
৩)ধরুন,আমি প্রতিদিন বিকেলে পদ্মা নদীর পাড়ে ঘুরতে যাই
অনেক সময় মেয়ে রা আসে
আগে তাকিয়ে দেখতাম,মানে চোখের যিনা করতাম
এখন যদি আমি তাওবা করি,আর দৃঢ় সংকল্প করি যে আর মেয়েদের দিকে তাকাব না তাহলেই হবে নাকি বিকেলে পদ্মার পারে যাওয়া বাদ দেওয়া লাগবে??