আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
১)ধরুন,

 আমাদের ডাইনিং এ আল্লাহর নাম লেখা একটি ছবি আছে
আমি একদিন আমি একদিন ডাইনিং রুমে বসে দোয়া করছিলাম আল্লাহর কাছে
হঠাৎ আমার মনে হলো আমি মনে হয় আল্লাহর নামের কাছে দোয়া করছি
তাই শির্কের আশঙ্কায় আমি ওই ছবিটি ডাইনিং রুম থেকে সরিয়ে ফেললাম
আবার আমাদের বাসায় একটা বিড়াল আছে, মাঝেমধ্যে দোয়া করতাম অর্থাৎ শিরক হত, এখন আমি তওবা করেছি, কিন্তু বিড়ালটা কে আমি আমাদের বাসা থেকে বের করে দেইনি আমি এখনও ওর সাথে খেলা করি, ওটাকে আমার খুব ভালো লাগে

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে আমি শিরকের আশংকায় আল্লাহর নাম লেখা ছবি সরিয়ে রাখলেও, শিরক করার পরও বিড়াল কে ত্যাগ করি নি(যদিও তাওবা করেছি শিরকের জন্য)
এতে কি বিড়ালকে আল্লাহর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে বা শিরক হচ্ছে??

আমি কি ওই বিড়াল এর সাথে খেলতে পারব নাকি ওকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া লাগবে?


২)আমার একটা মেয়ে কে ভালো লাগে

বিয়ে করতে চাই

এখন শিক্ষার্থী দুইজনই

কিছু দিন পর বিয়ে করতে চাই

তাকে ফেসবুকে আনফ্রেন্ড করে দিছি

কিন্তু ব্লক করি নি


সেদিন নামাযের সময় তার কথা মাথায় আসলো, নামায পরতে অসুবিধা হচ্ছিল,কিন্তু তাও আমি তাকে ব্লক করি নি


এই যে নামাযে অসুবিধা হওয়ার পরও তাকে ব্লক করি নি এজন্য তখন আমার মনে সন্দেহ হইল যে এটা হয়তো শিরক হয়ে গেল

তার পর আপনাদের সাইটে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম যে এটা শিরক না

কিন্তু আমার মনে সেদিন থেকে সন্দেহ হয়েই যাচ্ছে

খালি মনে হচ্ছে যে আমি মনে হয় ভালোবাসার ক্ষেত্রে শিরক করে ফেলছি


কিছুদিন আগে আমার মাথায় আসলো যে হয়ত অমুক ভাবে আমি শিরক করছি ওর ব্যাপারে, কিন্তু এখন আর মনে পরছে না যে কি উপায় মাথায় আসছিল

তাই আপনাদেরকে প্রশ্ন করতে পারছি না


আর ওই মেয়ে কে কি বিয়ে করা যাবে নাকি এখনই ব্লক মেরে,ফোন নাম্বার ডিলিট করে চিরদিনের জন্য ভুলে যাওয়া উচিত??

যদি ওই মেয়ে কে বিয়ে করি তবে কি শিরক বা গুনাহ হবে??
(উল্লেখ্য আমরা ফেসবুকে কথা বলি না)


৩)ধরুন,আমি প্রতিদিন বিকেলে পদ্মা নদীর পাড়ে ঘুরতে যাই

অনেক সময় মেয়ে রা আসে

আগে তাকিয়ে দেখতাম,মানে চোখের যিনা করতাম

এখন যদি আমি তাওবা করি,আর দৃঢ় সংকল্প করি যে আর মেয়েদের দিকে তাকাব না তাহলেই হবে নাকি বিকেলে পদ্মার পারে যাওয়া বাদ দেওয়া লাগবে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে শিরক হবে না।

(২)
আপনি মনযোগ সহকারে নামায পড়বেন। ঐ মেয়েকে বিয়ে করা শিরক হবে না।
(৩)
পদ্মা নদীর পাড়ে যেতে পারবেন।তবে মেয়েদের দিকে থাকাতে পারবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
বিড়াল কে আমি আমার সাথে রাখতে পারব???

by (597,330 points)
জ্বী, সাথে রাখতে পারবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...