আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
430 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমাদের বাসার কাছে একটা পুকুর আছে যেটাতে মাছ চাষ করা হয়।সমস্যা হল পুকুরে এলাকার ড্রেনের পানির লাইন আছে। মলমূত্র সব পুকুরে যায়। আবার বৃষ্টির সময় পুকুর প্রায় ভরে যায় পুকুরের একপাশে পাইপ দিয়ে তা আবার বর্ষার সময় পানি অন্য পুকুরে যায়। এই পুকুরে বৃষ্টির পানি ড্রেনের পানি দুটোই আছে। এই পুকুরের চাষকৃত মাছ কি খাওয়া জায়েজ হবে। আর পুকুর যদি পরিপূর্ণ বদ্ধ হয় এবং ড্রেনের লাইনও থাকে সেখানে মাছ চাষ করা হলে কি সে মাছ খাওয়া যাবে।

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

وَلَوْ أُرْسِلَتْ السَّمَكَةُ فِي الْمَاءِ النَّجِسِ فَكَبِرَتْ فِيهِ لَا بَأْسَ بِأَكْلِهَا لِلْحَالِ كَذَا فِي الْبَزَّازِيَّةِ اه
যদি নাপাক পানিতে মাছ বড় হয়,তাহলে সেই মাছকে বর্তমানে খাওয়া নাজায়েয।
(দুরারুল হুক্কাম শরহু গুরারিল আহকাম-১/২৮১)

الجواب عن قوله في حاشية الدرر، وينظر الفرق بين السمكة وبين الجلالة اهـ بأن تحمل السمكة على ما إذا لم تنتن ويراد بالجلالة المنتنة تأمل
অর্থাৎ নাপাক পানিতে মাছ বড় হওয়ার পর যদি মাছে কোনো প্রকার দুর্গন্ধ না থাকে, তাহলে তাহলে সেটা জায়েয।আর অন্যান্য প্রাণির বেলায় দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ার কারণে প্রক্রিয়াকরণ ব্যতীত হারাম।(রদ্দুল মুহতার৬/৩০৭)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
নাপাক পানাতে মাছ থাকার ধরুণ যদি সেই মাছে দুর্গন্ধ চলে আসে,তাহলে সেই মাছ খাওয়া নাজায়েয ও হারাম।কিন্তু যদি দুর্গন্ধ চলে না আসে তাহলে তাতে রুখসত রয়েছে।ইচ্ছা করলে ভক্ষণ করা যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...