আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+4 votes
531 views
in সালাত(Prayer) by (66 points)
আসসালামু আলাইকুম!

১। গতকাল বাথরুম করার পর ফ্ল্যাশ করতে গিয়ে পানি ছিটকে এসে কাপড়ে লাগে। এই কাপড় পরিহিত অবস্থায় কি নামাজ হবে?
২। সালাত সঠিক না হলে সাহু সিজদা দিতে হয়। এই সাহু সিজদায় কি শুধু সিজদা করলেই হয় নাকি সিজদার পর তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাসুরাও পড়া লাগে? সিজদা কি সালাতের সিজদার মত হবে নাকি একবার দিলেই চলবে (যদি সিজদার পর আর কিছু করা না লাগে)?
৩। ওজু করার ও সালাত আদায় করার শরয়ী বা সুন্নাহ নিয়ম কি? রাসূল(সাঃ) কীভাবে ওজু করতেন ও সালাত আদায় করতেন?
৪। দাঁত দিয়ে রক্ত পড়লে কি ওজু ভেঙ্গে যাবে? বিভিন্ন ফতওয়াতে দেখলাম ১ দিরহামের কম হলে ওজু ভঙ্গ হয় না। এই ১ দিরহাম কীভাবে হিসাব করা হয়?
৫। একজন ব্যক্তির বহু বছরের সালাত কাজা আছে। তিনি সকল সালাতের কাজা আদায়ের আগেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যান। এখন তার এসব সালাত যেগুলোর কাজা আদায় হয়নি সেগুলোর কি হবে? আর যদি কেউ হিসাবে ভুল করে যতটুকু দরকার ছিল তার থেকে কম আদায় করে ফেলে তার হুকুম কি? আমি islamqa এর ফতওয়ায় দেখলাম কাজা সালাত আদায়ের বদলে তওবা করে নিতে বলা হয়েছে ও ভবিষ্যতে যেন বাদ না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলা হচ্ছে। আগের কাজা সালাত আদায়ের বিধান কি? সহিহ হাদিসের দলিল দেওয়া যাবে কি? প্লিজ খুব সতর্কভাবে দেবেন। বুঝতেই তো পারছেন এটা আমাদের জান্নাত জাহান্নামের প্রশ্ন হলেও হতে পারে।
Link: https://islamqa.info/en/answers/111783/how-can-he-make-up-for-missed-prayers

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
ফ্লাশের পানি যদি নাজাসত বা নাজাসত সম্ভলিত স্থানের সাথে লেগে তারপর কাপড়ে এসে লাগে, এবং তা এক দিরহামের চেয়ে বেশী হয়, তাহলে উক্ত কাপড় দ্বারা নামাযই হবে না।কিন্তু যদি তা এক দিরহামের চেয়ে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড় দ্বারা নামায হয়ে যাবে। তবে উক্ত কাপড়কে ধৌত করা সম্ভব হলে ধৌত করে নেওয়াই উত্তম হবে।

(২)
সাহু সেজদার উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের অনেক মতবিরোধ রয়েছে।তন্মধ্যে সর্বোত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে  ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে অত্যান্ত সারগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে।
নিম্নে তা উল্লেখ করা হল......
وَالصَّوَابُ أَنْ يُسَلِّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ وَإِلَيْهِ أَشَارَ فِي الْأَصْلِ، كَذَا فِي الْكَافِي وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ وَكَيْفِيَّتُهُ أَنْ يُكَبِّرَ بَعْدَ سَلَامِهِ الْأَوَّلِ وَيَخِرَّ سَاجِدًا وَيُسَبِّحَ فِي سُجُودِهِ ثُمَّ يَفْعَلَ ثَانِيًا كَذَلِكَ ثُمَّ يَتَشَهَّدَ ثَانِيًا ثُمَّ يُسَلِّمَ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
وَيَأْتِي بِالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
অর্থাৎ-সেজদায়ে সাহুর সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর এক সালাম ডানদিকে ফিরাবে, অতঃপর আল্লাহু আকবর বলে সেজদায় চলে যাবে, এবং সেথায় (নামাযের সেজদার তাসবীহের মত)তাসবীহ পাঠ করবে,এবং এভাবে দ্বিতীয় সেজদাও আদায় করবে,অতঃপর তাশাহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/897

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সালাত সঠিক না হলে তথা ফরযকে সঠিক স্থানে আদায় না করলে বা ওয়াজিবকে ছেড়ে দিলে, সাহু সিজদা দিতে হবে। এই সাহু সিজদায় শুধু সিজদা করলেই হবে না,বরং সিজদার পর তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাসুরাও পড়তে হবে। সিজদা সালাতের সিজদার মত হবে, একবার দিলে হবে না।

(৩)
অজু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/6410

নামাযের ফরয ওয়াজিব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7490

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অজু এবং নামাযের যাবতীয় ফরয ওয়াজিব এবং সুন্নাহ পালন করে নিলেই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নামাযের মত হয়ে যাবে।

(৪)
দাত দিয়ে যৎ সামান্য রক্ত বের হলেই অজু ভেঙ্গে যাবে। এক দিরহাম বের হওয়া না হওয়ার সম্পর্ক অজুর সাথে নয় বরং নামাযের সাথে।

(৫)
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
" ﻭﺗﺎﺭﻙ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻤﺪﺍ ﻻ ﻳﺸﺮﻉ ﻟﻪ ﻗﻀﺎﺅﻫﺎ ، ﻭﻻ ﺗﺼﺢ ﻣﻨﻪ ، ﺑﻞ ﻳﻜﺜﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻄﻮﻉ ، ﻭﻫﻮ ﻗﻮﻝ ﻃﺎﺋﻔﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻠﻒ ".
এমন ব্যক্তির পক্ষ্য থেকে কাযা নেই।এমনকি সে কাযা করে নিলেও তার পক্ষ্য থেকে কাযা কবুল হবে না।বরং এক্ষেত্রে তার দায়িত্ব হল সে কাযা না করে বেশী বেশী করে নফল নামায পড়বে।(আল-এখতিয়ারাত-৩৪)
সালাফদের একাংশের ও এ অভিমত।তাদের দলীল হল, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যুগে ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেওয়া নামাযের কাযা করার কোনো প্রচলন ছিলনা।উমুরি কাযা বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/968


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 2,714 views
...