ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
ফ্লাশের পানি যদি নাজাসত বা নাজাসত সম্ভলিত স্থানের সাথে লেগে তারপর কাপড়ে এসে লাগে, এবং তা এক দিরহামের চেয়ে বেশী হয়, তাহলে উক্ত কাপড় দ্বারা নামাযই হবে না।কিন্তু যদি তা এক দিরহামের চেয়ে কম হয়, তাহলে উক্ত কাপড় দ্বারা নামায হয়ে যাবে। তবে উক্ত কাপড়কে ধৌত করা সম্ভব হলে ধৌত করে নেওয়াই উত্তম হবে।
(২)
সাহু সেজদার উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের অনেক মতবিরোধ রয়েছে।তন্মধ্যে সর্বোত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে অত্যান্ত সারগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে।
নিম্নে তা উল্লেখ করা হল......
وَالصَّوَابُ أَنْ يُسَلِّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ وَإِلَيْهِ أَشَارَ فِي الْأَصْلِ، كَذَا فِي الْكَافِي وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ وَكَيْفِيَّتُهُ أَنْ يُكَبِّرَ بَعْدَ سَلَامِهِ الْأَوَّلِ وَيَخِرَّ سَاجِدًا وَيُسَبِّحَ فِي سُجُودِهِ ثُمَّ يَفْعَلَ ثَانِيًا كَذَلِكَ ثُمَّ يَتَشَهَّدَ ثَانِيًا ثُمَّ يُسَلِّمَ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.
وَيَأْتِي بِالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
অর্থাৎ-সেজদায়ে সাহুর সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর এক সালাম ডানদিকে ফিরাবে, অতঃপর আল্লাহু আকবর বলে সেজদায় চলে যাবে, এবং সেথায় (নামাযের সেজদার তাসবীহের মত)তাসবীহ পাঠ করবে,এবং এভাবে দ্বিতীয় সেজদাও আদায় করবে,অতঃপর তাশাহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/897
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সালাত সঠিক না হলে তথা ফরযকে সঠিক স্থানে আদায় না করলে বা ওয়াজিবকে ছেড়ে দিলে, সাহু সিজদা দিতে হবে। এই সাহু সিজদায় শুধু সিজদা করলেই হবে না,বরং সিজদার পর তাশাহহুদ, দরূদ ও দোয়া মাসুরাও পড়তে হবে। সিজদা সালাতের সিজদার মত হবে, একবার দিলে হবে না।
(৩)
অজু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/6410
নামাযের ফরয ওয়াজিব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7490
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
অজু এবং নামাযের যাবতীয় ফরয ওয়াজিব এবং সুন্নাহ পালন করে নিলেই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নামাযের মত হয়ে যাবে।
(৪)
দাত দিয়ে যৎ সামান্য রক্ত বের হলেই অজু ভেঙ্গে যাবে। এক দিরহাম বের হওয়া না হওয়ার সম্পর্ক অজুর সাথে নয় বরং নামাযের সাথে।
(৫)
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
" ﻭﺗﺎﺭﻙ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻤﺪﺍ ﻻ ﻳﺸﺮﻉ ﻟﻪ ﻗﻀﺎﺅﻫﺎ ، ﻭﻻ ﺗﺼﺢ ﻣﻨﻪ ، ﺑﻞ ﻳﻜﺜﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻄﻮﻉ ، ﻭﻫﻮ ﻗﻮﻝ ﻃﺎﺋﻔﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻠﻒ ".
এমন ব্যক্তির পক্ষ্য থেকে কাযা নেই।এমনকি সে কাযা করে নিলেও তার পক্ষ্য থেকে কাযা কবুল হবে না।বরং এক্ষেত্রে তার দায়িত্ব হল সে কাযা না করে বেশী বেশী করে নফল নামায পড়বে।(আল-এখতিয়ারাত-৩৪)
সালাফদের একাংশের ও এ অভিমত।তাদের দলীল হল, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যুগে ইচ্ছাকৃত ছেড়ে দেওয়া নামাযের কাযা করার কোনো প্রচলন ছিলনা।উমুরি কাযা বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/968