ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
হাদীসের রেফারেন্স খুজছি।পেলেই জানাবো।
হাদিসটি ইমাম তাবারানি রাহ আওসাত গ্রন্থে এবং সাগির গ্রন্থে হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণনা করেন,
হাদীসের আরবী রূপ এই-
عن عائشة رضي الله عنها قالت جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال: (يا رسول الله والله إنك لأحب إلي من نفسي، وإنك أحب إلي من أهلي، وأحب إلي من ولدي، وأني لأكون في البيت فأذكرك فما أصبر حتى آتيك فأنظر إليك، وإذا ذكرت موتي وموتك عرفت أنك إذا دخلت الجنة رفعت مع النبيين، وأني إذا دخلت الجنة خشيت ألا أراك، فلم يرد عليه النبي صلى الله عليه وسلم حتى نزل جبريل عليه السلام بهذه الآية ( ومن يطع الله ورسوله فأولئك مع الذين أنعم الله عليهم من النبيين والصديقين والشهداء والصالحين وحسن أولئك رفيقاً). )
উক্ত হাদীসে যে সাহাবীর আলোচনা এসেছে, উক্ত সাহাবী সম্পর্কে ইমাম কুরতুবি রাহ উনার তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেন যে, উনি হলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ ইবনে আব্দে রাব্বিহিল আনসারি।যিনি স্বপ্নে আযানের পদ্ধতিকে দেখেছিলেন। তবে কেউ কেউ বলেন, সংশ্লিষ্ট সাহাবী হলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আযাদকৃত গোলাম, হযরত সাওবান রাযি। উক্ত হাদিসের সনদ বিশুদ্ধ
(২)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عبد الله قال سألت النبي صلى الله عليه وسلم أي العمل أحب إلى الله قال الصلاة على وقتها قال ثم أي قال ثم بر الوالدين قال ثم أي قال الجهاد في سبيل الله قال حدثني بهن ولو استزدته لزادني -(كتاب مواقيت الصلاة)
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম কোন আ'মল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশী পছন্দনীয়। তিনি জবাবে বললেন, সময়মতো (মুস্তাহাব ওয়াক্তে ) নামায পড়া।(সহীহ বুখারী-৫০৪)
(৩)
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাঃ এর স্ত্রীদের সংখ্যা ১১ জন।
(৪)
মাযার অর্থ যিয়ারতের স্থান,সাক্ষাতের স্থান। তবে বর্তমানে কোনো ওলী আল্লাহর কবরকেই মাযার বলা হয়ে থাকে, এ হিসেবে যে, সেখানে গিয়ে উক্ত ওলী আল্লাহদের কবরে গিয়ে সাথে সাক্ষাৎ করা হয়।মাযারে বা কবরে যাওয়া মূলত শিরক ছিলনা।তবে আনুষাঙ্গিক কারণে বর্তমানে প্রচলিত মাযার সমূহে যাওয়া কারো জন্যই জায়েয হবে না।কেননা এখানে শিরক হয়। কবরে যাওয়া বা কবর যিয়ারত করা পুরুষের জন্য বিনা দ্বিধায় জায়েয।তবে ফিতনার আশংকার দরুণ নারীদের জন্য কবরে যাওয়া মাকরুহ।
(৫)
https://www.ifatwa.info/5331 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
يَقْتَضِي الْجَوَازَ لِلنِّسَاءِ أَيْضًا لِأَنَّهُ لَمْ يَخُصَّ الرِّجَالَ وَفِي الْأَشْرِبَةِ وَاخْتَلَفَ الْمَشَايِخُ رَحِمَهُمْ اللَّهُ تَعَالَى فِي زِيَارَةِ الْقُبُورِ لِلنِّسَاءِ قَالَ شَمْسُ الْأَئِمَّةِ السَّرَخْسِيُّ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - الْأَصَحُّ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِهَا وَفِي التَّهْذِيبِ يُسْتَحَبُّ زِيَارَةُ الْقُبُورِ
কবর যিয়ারতের বিধানের ব্যপকতার মধ্যে পুরুষ মহিলা সবাই শামিল।কেননা শুধুমাত্র পুরুষের সাথে নির্দিষ্ট হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।মাশায়েখগণ মহিলাদের কবর যিয়ারত নিয়ে মতবেদ করেন।সারাখসী রাহ,মনে করেন,বিশুদ্ধ কথা হল,এতে কোনো সমস্যা নেই।তাহযিব কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,তাদের জন্য কবর যিয়ারত মুস্তাহাব।
কিন্ত যামানার ফিৎনার ধরুণ মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারতে না যাওয়াই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৯/১৯২)বিস্তারিত অালোচনা (কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/২২৮)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5331
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মদিনায় মহিলারা কবর যিয়ারত করতে পারবে।তবে ফিতনার আশংকার দরুণ সাধারণ কবরস্থানে গিয়ে কবর যিয়ারত করতে পারবে না।এবং মাাযারেও যেতে পারবে না