শরীয়তের বিধান হলো যেটি মাছ,সেটি যে মাছই হোকনা কেনো,সমূদ্রের হোকনা কেনো,সবই খাওয়া জায়েজ আছে। তবে মাছ ছাড়া অন্য কোন জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েয নাই।
قال الله تعالی:وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ الأعراف: ١٥٧
তাদের জন্য ভালো জিনিস হালাল করা হয়েছে,আর অখাদ্যদ্রব্য হারাম করা হয়েছে।
(আল আ'রাফ ১৫৭)
আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
أحلت لنا ميتتان ودمان فأما الميتتان فالحوت والجراد وأما الدمان فالكبد والطحال
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের জন্য দু’ প্রকারের মৃত জীব ও দু’ ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দু’টি হলো মাছ ও টিড্ডি এবং দু’ প্রকারের রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা। (ইবনে মাজাহ ৩৩১৫, আহমাদ ৫৬৯০, দারাকুতনী ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮০৩। সনদ সহিহ।)
★সুতরাং আমাদের মুসলিম বাজারে যে সমস্ত মাছ পাওয়া যায়,সেগুলো খাওয়া জায়েজ আছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদমসন্তানের জন্য সমুদ্রের সব মাছ জবাই করে (হালাল করে) দিয়েছেন।’ (সুনানে দারাকুতনি, হাদিস : ৪৭১০)
কোনো মাছ মারা গেলে তা নষ্ট হওয়ার আগে খাওয়া হালাল।
যে মাছ বিনা কারণে মারা যাবে তা খাওয়া মাকরুহ।
,
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা সাগরে নিক্ষেপকৃত মাছ, শুকনায় উঠে যাওয়া মাছ খাও। আর বিনা কারণে মৃত মাছ খেয়ো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮১৫)
অপর বর্ণনায় জাবের (রা.) বলেন, ‘বিনা কারণে ভেসে ওঠা মৃত মাছ খেয়ো না।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ৮৬৬২)
তবে যেহেতু অক্টোপাস, স্কুইড (সামুদ্রিক বিশেষ প্রাণী), শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি মাছ নয়, তাই এগুলো খাওয়াও নাজায়েজ।
,
(০২)
যদি সেটি মাছ হয়,তাহলে তাহা হারাম হবেনা।