জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ "
ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সাদকাও কুবুল হয় না।
(তিরমিজি ০১.সুনানে ইবনে মাজাহ ২৭২)
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
(معارف السنن، كتاب الطهارة، باب ما جاء لا تقبل صلاة بغير طهور-1/34، الفتاوى الشامية، باب البيع الفاسد، مطلب فى من ورث مالا حراما-7/301، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/554، بذل المجهود، كتاب الطهارة، باب فرض الوضوء- 1/37
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে সেটি ফকিরদেরকে সদকাহ করে দিতে হবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই বান্ধবী যদি গরিব হয়,তার যদি নেসাব পরিমান সম্পদ না থাকে,তথা তার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়ে থাকে,তাহলে তাকে আপনি এই হারাম টাকা দিতে পারবেন।
,
(০২)
হ্যাঁ জায়েজ আছে।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন যেহেতু ইসলামী ব্যাংক এর লভ্যাংশ গ্রহন করতে নিষেধ করে থাকেন,তাই আপনি লাভ গ্রহন করবেননা।
উত্তোলন করলে লভ্যাংশ গরিবদের মাঝে দান করে দিবেন।
,
(০৩)
পর্দার সমস্যা হলে চাকুরী ছেড়ে দিন।
হ্যাঁ পছন্দের কাউকে বিবাহ করতে পারবেন,তবে দীনদার দেখে বিবাহ করার চেষ্টা করবেন।
দোয়া করি,আল্লাহ তায়ালা যেনো আপনার জন্য দীনদার পাত্রের ব্যবস্থা করে দেন,আমিন।