জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، لَمَّا طُعِنَ عَوَّلَتْ عَلَيْهِ حَفْصَةُ فَقَالَ يَا حَفْصَةُ أَمَا سَمِعْتِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْمُعَوَّلُ عَلَيْهِ يُعَذَّبُ " . وَعَوَّلَ عَلَيْهِ صُهَيْبٌ فَقَالَ عُمَرُ يَا صُهَيْبُ أَمَا عَلِمْتَ " أَنَّ الْمُعَوَّلَ عَلَيْهِ يُعَذَّبُ " .
'আমর আন নাকিদ (রহঃ) ... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিঃ) যখন আহত হলেন, হাফসাহ (রাযিঃ) সশব্দে কাঁদতে লাগলেন। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, ওগো হাফসাহু তুমি কি শোননি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার জন্য উচ্চৈঃস্বরে ক্ৰন্দন করা হয় তাকে শাস্তি দেয়া হবে? তার প্রতি সুহায়ব (রাযিঃ)-ও কাঁদতে থাকলে উমর (রাযিঃ) তাকেও বললেন, হে সুহায়ব! তুমি কি জান না যার জন্য চিৎকার করে বান্নাকাটি করা হয় তাকে আযাব দেয়া হবে? (মুসলিম ২০৩৩.ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০১৬, ইসলামীক সেন্টার ২০২৩)
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا زُبَيْدٌ الْيَامِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَطَمَ الْخُدُودَ، وَشَقَّ الْجُيُوبَ، وَدَعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ ".
আবূ নু’আইম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যারা (মৃত ব্যাক্তির জন্য শোক প্রকাশে) গাল চাপড়ায়, জামার বুক ছিড়েঁ ফেলে এবং জাহিলীয়াত যুগের মত চীৎকার দেয়, তারা আমাদের তরীকাভূক্ত নয়।
(বুখারী ১২১৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
চিৎকার-চেঁচামেচি করে, চারপাশের পরিবেশ অশান্ত করে ফেলেন অথবা হামাগুড়ি দিয়ে নিজের শরীর চাপড়াতে থাকে। সেই সব ব্যক্তিদের সম্পর্কে আলোচ্য হাদীস সমূহ উল্লেখ হয়েছে।
যারা নীরবে-নিভৃতে মৃত ব্যক্তির জন্য চোখের অশ্রু ঝরায়। তাদের ব্যাপারে কোরআন এবং সুন্নাহয় কোনো গুনাহের কথা নেই।
এটি জায়েজ আছে।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এইভাবে কান্না করা যাবে।
এতে মৃত মায়ের আযাব হবেনা।
তবে কান্না কন্ট্রোলের বাহিরে যেনো না যায়,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
,
(০২)
""রব্বি যিদনি ইলমা"" এটি জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়া।
এটি বলার দ্বারা মার জন্য দোয়া করা হবেনা।
আপনি উল্লেখিত পরের দোয়াটি পড়তে পারেন,এতে দোয়া হয়ে যাবে।
""রব্বির হামহুমা কামা রব্বা ইয়ানি ছগীরা"" দোয়াটিও পড়তে পারেন।
,
(০৩)
আপনি যেকোনো সময় তাদের জন্য দোয়া করতে পারবেন।
আল্লাহ যেনো তাদের ক্ষমা করে দেন,এইভাবে বলে দোয়া করবেন।
তাদের জন্য ছদকায়ে জারিয়া করতে পারেন।
,
(০৪)
এটি নিজের আমলের কমতি বলে মনে করবেন।
নিজের নেক আমল বাড়িয়ে দিতে হবে,নেক ব্যাক্তিদের সাথে উঠাবসা করতে হবে।