জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
স্বামীকে কুরআন তেলাওয়াত করে শুনালে তা রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
(০২)
ব্যাখা অনুপাতে আপনার মেয়ে সন্তান হবে,ইনশাআল্লাহ।
,
(০৩)
হায়েজ অবস্থায় কবরস্থানে গিয়ে জিয়ারত করা যাবে।
কুরআন তিলাওয়াত করা যাবেনা,তবে কুরআনের দোয়া মূলক আয়াত পড়তে পারবে।
,
(০৪)
মহিলাদের জন্য কবরস্থানে যাওয়া বিষয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে।
কেহ কেহ বলেছেন যে এ অনুমতি নারী-পুরুষ সবার জন্য, না শুধু পুরুষের জন্য। কিছু মনীষীর মতে নারীদের অনুমতি নেই। কারণ এক হাদীসে আবু হুরায়রা রা. বলেন-
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم لعن زوارات القبور
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারতকারী নারীদের উপর অভিসম্পাত করেছেন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৮৪৪৯; জামে তিরমিযী, হাদীস ১০৫৬; সুনানে ইবনে মাজাহ,হাদীস ১৫৭৫; মিশকাত পৃ. ১৫৪
আর কেউ কেউ বলেন, এটি অনুমতির আগের। এখন পুরুষের মতো নারীদেরও কবর যিয়ারতের অনুমতি আছে।
নারীদের নিষেধ করার তাৎপর্য এই যে, ইলম ও সবরের স্বল্পতার কারণে তারা ওখানে গিয়ে অস্থিরতা, কান্নাকাটি এবং বিদআত ও গায়রে শরয়ী আচরণ থেকে বিরত থাকতে পারে না। যেহেতু তাদের ওখানে যাওয়ায় ফিতনার আশঙ্কাই প্রবল তাই তাদেরকে বিশেষভাবে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং যদি কোনো নারী ওখানে গিয়ে কোনো প্রকারের বিদআত ও গায়রে শরয়ী কার্যকলাপে লিপ্ত না হন তাহলে তার অনুমতি আছে। তবে বৃদ্ধা নারীরা যেতে পারেন, যুবতীদের না যাওয়াই ভালো। -ফাতাওয়ায়ে শামী খ. ২ পৃ. ২৪২, নতুন মুদ্রণ, মিশর
,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর ৩৬১৪৪ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে মহিলারা যদি নিজেক কন্ট্রোল করতে পারে,আহাজারি যদি না করে,তাহলে মহিলাদের জন্য নিজ নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনদের কবর যিয়ারত করা জায়েজ আছে।
পুরোপুরি নিকটে যেতে পারবে।
তবে সেখানে গিয়ে কোনো শরীয়ত বহির্ভূত কাজ করা যাবেনা।
আরো জানুনঃ
(০৫)
নামাজ হয়ে যাবে।
সমস্যা হবেনা।
,
(০৬)
এটিকে নিজের আমলের কমতি বলে মনে করবে।
আমল বাড়িয়ে দিবে।
নেক ব্যাক্তিদের সাথে বেশি উঠা বসা করবে।