আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
684 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (-1 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

১/ সহশিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের পড়াশোনা করার বিধান কি? শরিয়তে তো ফ্যামিলির ভরণ-পোষনের ব্যবস্থা পুরুষের উপর দেওয়া হয়েছে।

২/ সেই প্রতিষ্ঠান যদি ছাত্রীর শহরের বাইরে হয় এবং হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতে হয় অর্থাৎ সেখানে যদি তার কোন মাহরাম না থাকে তাহলে কি তার জন্য সেই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়িজ?

৩/ একটা ফাতওয়াতে দেখেছি বলা হয়েছে উম্মতের কল্যাণের নিয়তে এমন প্রতিষ্ঠানে পরিপূর্ণ পর্দা মেইন্টেইন করে পড়া যাবে। কিন্তু সেখানকার অবস্থা যদি এরুপ হয় যে নারীরা পর্দা করতে পারবে না আর মুখ খুলে রাখা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক তাহলে সেখানে নারীদের পড়াশোনার বিধান কি?

৪/ যেসব টিচাররা নিকাব পরিহিতা মেয়েদের নিকাব খুলতে বাধ্য করেন ও এটা নিয়ে তাচ্ছিল্য করেন তাদের বিধান কি? শরিয়তের ওয়াজিব বিধান নিকাবের বিরোধিতা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার কারণে কি তারা মুরতাদে পরিণত হবে?

৫/ যদি তারা মুরতাদ হিসেবে গণ্য হয় তারা কি ওয়াজিবুল কতল?

৬/  আর এই কতলটা কে করবে? যেকোন আম মানুষই কি এই অধিকার রাখে নাকি ইসলামিক রাষ্ট্র করবে?

৭/ এখন যখন রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম নাই তো এখানে কি আম মানুষ তাদের শাস্তি দেওয়ার অধিকার রাখেন? আর যদি কোন সাধারণ মানুষ তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেন তাহলে তার ব্যাপারে শরীয়াহর বিধান কি?

প্রশ্নটা বড় করে ফেলার জন্য দুঃখিত।
closed
by (65 points)
Aso na geso????
by (-1 points)
বেচে আছি আলহামদুলিল্লাহ্। তবে আমি নিজে গেছি।
দুয়ার দরখাস্ত, ভাই 

1 Answer

0 votes
by (707,520 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

জবাবঃ-
(১)
সহশিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষাগ্রহণের হুকুম নিয়তের উপর নির্ভরশীল। নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে অনুমোদন যোগ্য।দুনিয়া অর্জনের নিয়ত থাকলে অনুমোদন যোগ্য নয়।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/3055

(২)
পূর্বে উত্তরে জায়েয নাজায়েয সম্পর্কে অবশ্যই আপনি অবগত হয়েছেন।যদি শরয়ী দিক বিবেচনায় অনুমোদন যোগ্য হয়ে যায়।এবং পরিবর্তী প্রশ্ন আসে যে,মাহরাম ব্যতীত হোষ্টেলে অবস্থান করে শিক্ষাগ্রহণ কি জায়েয?এ সম্পর্কে বলা যায় যে,মাহরাম ব্যতীত পর্দানশীন নিরাপদ পরিবেশে মহিলা অবস্থান করতে পারবে।বিস্তারিত জানুন-https:www.ifatwa.info/212

(৩)
এমন প্রতিষ্টানে লেখাপড়া করা কখনো জায়েয হবে না।

(৪)
পর্দা করা, ফরজ।বিনা প্রয়োজনে হাত মুখসহ সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা ফরয।পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/572

ফরয বিধানের অস্বিকার কারী কাফির, মুরতাদ।টিচার যদি কোনো প্রকার শরয়ী ব্যখ্যা ব্যতীত পর্দাকে অস্বীকার বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, তবে সে মুরতাদ হয়ে যাবে।অর্থাৎ টিচারের যদি উদ্দেশ্য থাকে,পর্দার ফরজ বিধান কে অস্বীকার করা বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা,তাহলে টিচার কাফির হয়ে যাবেন।তবে যদি পর্দার ফরয বিধানকে অস্বীকার করা টিচারের উদ্দেশ্য না হয়,বরং মূখ পর্দার অন্তর্ভুক্ত নয়,এমনটা উনি বুঝাতে চান,বা উদ্দেশ্য থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় উনি কাফির কাফির হবেন না।তবে পথভ্রষ্ট গোমরাহ হিসেবে বিবেচিত হবেন।

(৫)ও(৬)কেউ মুরতাদ হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার পর সে ওয়াজিবুল কতল হয়ে যায়।তবে এ হুকম সরকার বা রাষ্ট্রই বাস্তবায়ন করবে।

(৭)
হুদুদ ও কেসাস বাস্তবায়ন করা হুকুমত বা সরকারের দায়িত্ব ও অধিকার।সুতরাং জনসাধারণ এ দায়িত্বকে নিজ কাধে  নিতে পারবে না।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2689


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...