আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
reshown by
জনাব,মুফতি সাহেব আসসালামুআলাইকুম ।পূর্বে আপনি সহ আরও দুইজন মুফতি সাহেব বলেছেন খালওয়াত হয় নি ।মনের শান্তির জন্য আবার করা প্রশ্ন । দয়া করে বলবেন।

আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিলাম তালাক তালাক তালাক এই ভাবে বলছি ।

১।পূর্বে বলছিলাম আমরা যে পার্কে যেতাম ঔ খানে কোন টিকেট কাউন্টার থাকতো না ।ওনারা পার্কের ভিতর থেকেই টাকা নিতো ।পার্কে ওনাদের কর্মচারীরা কে কখন আসে বলা যায় না । কর্মচারীরা আসতো পার্কে ওনাদের ।কিন্তু কখন আসে বলা যায় না ।একদিন আমি আর আমার স্ত্রী পার্কে প্রবেশ করছি ।তখন আমরা ছাড়া কেউ ছিলাম না পার্কে ।পার্কে যিনি টাকা নেন উনি ছিলো । ওনাকে টাকা দিলে উনি বলে ভাংতি নাই এনে দিচ্ছি ভাংতি করে ।পরে উনি সামনেই দোকান ছিলো ঔ খানে থেকে হয়তো ভাংতি আনতে গেছে । উনি না থাকাতে পার্কের হলরুমে দুইজন গিয়ে একটু স্পর্শ করেই বের হয়ে গেছি কেননা উনি যদি চলে আসে দেখে পেলে ।আর ওনাদের কর্মচারীরা কখন এসে দেখে পেলে বা  কেউ পার্কে আসলে আমাদের দেখবে ।দূর থেকেও দেখা যাবে । হলরুম টা খোলামেলা ছিল । দরজা জানালা খোলা ।দূর থেকে ও দেখা যাবে আমাদের  । উনি যদি দেখে পেলে এসে এই ভয়ে বের হয়ে গেছি ।আর ওনাদের পার্কে কর্মচারীরা এবং পার্কে লোকজন যে কোন সময় প্রবেশ করে ।
একজন মুফতি সাহেব কে জানালে উনি বলে পার্কে যে কেউ আসার সুযোগ আছে আর যেহেতু খোলামেলা আর ঔ লোকটিও প্রবেশ করতে পারতো যে কোন সময় দূর থেকেও দেখা যায় সুতরাং খালওয়াত হবে না ।

২। একদিন রেস্টুরেন্টে আমরা প্রবেশ করছি । আমরা যে খানে বসলাম যে কেউ আমাদের পাশ দিয়ে হাটলে দেখা যাবে যে কেউ সরাসরি প্রবেশ করতে পারবে  । আর চাইলে পাশে একটা টেবিলেও বসতে পারবে আমাদের পাশে ।আমরা যখন প্রবেশ করছি তখন রেস্টুরেন্টে মানুষ ছিলো । দুপুর হওয়াতে মানুষ কমে গেছে কিন্তু যিনি খাবার পরিবেশন করেন উনি ছাড়াও আর ও তিন জন লোক ছিল উপরে ।খাবার সার্ভ করা ব্যক্তি আমাদের কাছে আসতেন কিছু লাগবে কিনা বলতেন ।দুপুর হওয়াতে  যিনি খাবার সার্ভ করেন তিনি এসে বললেল বিল দিতে উনি খাবার খাবে । আমরা বিল দিয়ে দেই । উনি উপরেই বসে খেলো। আমরা যে খানে বসছি আমাদের হালকা স্পর্শ হইছে এবং পরে উঠে গেছি এখান থেকে এবং চলে গেছি আমরা। যে কেউ আমাদের কাছে আসতে পারবে এবং দেখার সুযোগ আছে ।আর কেউ যদি এই পাশ দিয়ে হাটেও দেখতে পারবে আমাদের ।

একজন মুফতি সাহেবকে জানালে বলে খালওয়াত হবে না । যে কেউ এখানে আসতে পারবে ।সুতরাং সহবাস প্রতিবন্ধকতা আছে ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়ত অনেকে ক্ষেত্রে খালওয়াতে সহীহাহ কে সহবাসের পর্যায়ে গন্য করে।
কেহ যদি খালওয়াতে সহীহাহ এর পরে স্ত্রীকে ধারাবাহিকভাবে এক,দুই,তিন তালাক দেয়।
তাহলে তিন তালাক হবে।
মোহর আদায় ওয়াজিব হবে।

আর যদি সহবাস/খালওয়াতে সহীহাহ এর পূর্বে স্ত্রীকে   ধারাবাহিকভাবে এক,দুই,তিন তালাক দেয়।
বা তালাক,তালাক,তালাক বলে।
তাহলে এক তালাক হবে।
এক্ষেত্রে পুনরায় তাকে নিয়ে ঘর সংসার করতে চাইলে তাকে নতুন করে বিবাহ করতে হবে।    

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

وعن الأحنف بن قيس أن عمر وعليا رضى الله عنهما قالا : (إذا أغلق بابا ، وأرخى سترا: فلها الصداق كاملا ، وعليها العدة) . قال الألباني في "إرواء الغليل" (1937) : "رجاله ثقات" .
সারমর্মঃ
যখন কেহ দরজা বন্ধ করে,সতর ছেড়ে দেয় (খুলে) তার জন্য পূর্ণ মোহর দিতে হবে। 
 
وروى ابن المنذر في الأوسط (7273) عن الوليد بن أبي مالك قال: جمع عمر رضي الله عنه نفرا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم فيهم معاذ بن جبل، فأجمع رأيهم: أنه إذا أغلق بابا، أو أرخى سترا، فقد وجب المهر.
সারমর্মঃ
যখন কেহ দরজা বন্ধ করে,সতর ছেড়ে দেয় (খুলে) তার জন্য মোহর ওয়াজিব হবে।
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত দুটি খালওয়াতে সহীহাহ নয়।
কেননা এক্ষেত্রে উভয় ছুরতেই  সহবাস হতে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে  
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্ত্রীর উপর শুধু এক তালাকে বায়েন পতিত হয়েছে।
আপনি তাকে পুনরায় বিবাহ করে নিতে পারবেন।
,
আরো জানুনঃ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...