আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+23 votes
47,228 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
অনেকেই বলছে, ছেলেদের এক কালালের লাল ও হলুদ জামা পড়তে নাকি রসুল স. নিষেধ করেছেন।

বেশ কয়েকটি হাদিসেই নাকি সরাসরি বলা আছে? এই হাদিসগুলোর অনুবাদ কি সঠিক? আর জামাগুলো পড়া কি হারাম?

1 Answer

+8 votes
by (565,890 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم  

শরীয়তের বিধান হলো পুরুষদের জন্য নিরেট লাল এবং হলুদ কালারের পোশাক  পরিধান করা মাকরুহ। 
রাসুল সাঃ এমন কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন।   

হাদীস শরীফে এসেছে  
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَالْمُعَصْفَرِ وَعَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ وَعَنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الرُّكُوعِ .
ইসহাক ইবনু মূসা আনসারী (রহঃ) ..... আলী ইবনু আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশম, কুসুম রঙ্গের কাপড় (হলুদ), স্বর্ণের আংটি এবং রুকূতে কুরআন পাঠ করা নিষেধ করেছেন। - মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ دَاوُدَ الْمُنْكَدِرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ أَقُولُ نَهَاكُمْ عَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ وَعَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَعَنْ لُبْسِ الْمُفَدَّمِ وَالْمُعَصْفَرِ وَعَنِ الْقِرَاءَةِ فِي الرُّكُوعِ . 
হাসান ইবনু দাঊদ মুনকাদিরী (রহঃ) ... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিষেধ করেছেন, আর আমি বলি না যে, তোমাদের নিষেধ করেছেন- সোনার আংটি রেশম মিশ্রিত কাপড়, গাঢ় লাল রং-এর কাপড় এবং কুসুম রং-এর কাপড় থেকে নিষেধ করেছেন এবং রুকু অবস্থায় কিরাআত থেকে।(নাসাঈ ১১৪৫)

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، سُلَيْمَانُ بْنُ سَيْفٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ، وَعُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ أَبُو عَلِيٍّ حَدَّثَنَا وَقَالَ، عُثْمَانُ أَنْبَأَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، - رضى الله عنه - قَالَ نَهَانِي حِبِّي صلى الله عليه وسلم عَنْ ثَلاَثٍ - لاَ أَقُولُ نَهَى النَّاسَ - نَهَانِي عَنْ تَخَتُّمِ الذَّهَبِ وَعَنْ لُبْسِ الْقَسِّيِّ وَعَنِ الْمُعَصْفَرِ الْمُفَدَّمَةِ وَلاَ أَقْرَأُ سَاجِدًا وَلاَ رَاكِعًا " . 
আবূ দাঊদ সুলায়মান ইবনু সায়ফ (রহঃ) ... আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধুটি আমাকে তিনটি কাজ থেকে নিষেধ করেছেন। আমি বলি না যে, লোকদের নিষেধ করেছেন। তিনি আমাকে নিষেধ করেছেন সোনার আংটি পরিধান করতে, রেশম মিশ্রিত কাপড়, কুসুম রংয়ের কাপড় এবং গাঢ় লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করতে। আর আমি যেন রুকু এবং সিজদা অবস্থায় কুরআন পাঠ না করি।
(নাসায়ী ১১২২)

حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُنَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ نَهَانِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ التَّخَتُّمِ بِالذَّهَبِ وَعَنْ لِبَاسِ الْقَسِّيِّ وَعَنِ الْقِرَاءَةِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَعَنْ لِبَاسِ الْمُعَصْفَرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের আংটি পরতে, রেশমি পোশাক পরতে, রুকু সিজদায় কুরআনের আয়াত পাঠ করতে এবং হলুদ রং-এর পোশাক পরতে বারণ করেছেন।(তিরমিযি ১৭৩৭)


★তবে এক্ষেত্রে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে,কিছু উলামায়ে কেরাম এটাকে মাকরুহে তানযিহি (অনুত্তম) বলেছেন। 
(ইমদাদুল ফাতওয়া  ৪/১৪৫)

★কিছু উলামায়ে কেরাম বলেছেন যে  পুরুষদের জন্য লাল এবং হলুদ রং এর পোশাক পরিধান করা জায়েয আছে,তবে মহিলাদের সাথে যেনো সাদৃশ্যতা না রাখে,সেই দিকে পূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৩০৫)    

 আদ্দুররুল মুখতার গ্রন্থে আছেঃ  
وکرہ لبس المعصفر والمزعفر الأحمر والأصفر للرجال مفادہ أنہ لا یکرہ للنساء - إلی قولہ - ولا بأس بلبس الأثواب الأحمر ومفادہ أن الکراہۃ تنزیہۃ۔ (الدر المختار مع الشامي ۶؍۳۸۵ کراچی، ۹؍۵۱۵ زکریا، الفتاویٰ الہندیۃ ۴؍۱۹۲، فتاویٰ قاضي خان ۳؍۴۱۲) 
যার সারমর্ম হলো এই লাল এবং কাপড় রং এর কাপড় পরিধান করা মাকরুহে তানযিহি। 

★তবে যদি কোন পোশাকে লাল বা হলুদ রং এর পাশাপাশি যদি অন্য রং থাকে,তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে পুরুষদের জন্য এমন কাপড় পরিধান করা জায়েজ  আছে।
,
★★সুতরাং যেহেতু পুরুষদের জন্য নিরেট লাল বা হলুদ কাপড় পরিধান করার ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে,তাই এহেন পোশাক পরিধান না করাই উত্তম হবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহু খাইরান। 
by
জাযাকাল্লাহু খাইরান। 




by
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নিষেধ করেছেন মানে হারাম। 
এত গুলো হাদিসের মধ্যে ফলো করবো কোনটি?
অনেকেই সিগারেট মাকরুহ মনে করেই খায়। বলে যে অতিরিক্ত খেলে গোনাহ অল্প করে খেলে প্রব্লেম নাই কারন সিগারেটের প্রতি তার ভালো নেশা হয় নি। ভালো লাগে তাই খায়।
আমাকে একটু স্পষ্ট করে বলেন যে কোনটা মানবো? 

by
আসসালামু আলাইকুম। 
লাল বা হলুদের অন্য শেড কি পরা যাবে?যেগুলো আমরা সরাসরি লাল বা হলুদ বলি না কিন্তু দেখতে ওই রঙের মতো।যেমন মেরুন।দেখতে গাড় লাল।কিন্তু নাম মেরুন।
অনেককে বাসন্তী, মেরুন এসব পরতে মানা করলে বলে এগুলো লাল বা হলুদ না।এটা মেরুন রঙ।
এই জন্য জিজ্ঞাসা। উত্তর আশা করছি।
by
কালো কাবলী কাপড় ছেন্ডেল টুপি সব একসাথে পরা যাবে কিনা।
by (1 point)
Alhamdulillah
by
তাকওয়ার জন্য লাল বা হলুদ যেকোন কাপড় পুরুষদের না পড়াই উচিত।যারা মাঝে মাঝে সিগারেট খেয়ে মজা পায়,তারা একসময় চেইন স্মোকার হয়ে ।তাই নিজের ঈমানের সুরক্ষা এবং আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্যের অংশ হিসেবে হলুদ ও লাল কাপড় না পড়াই  ঈমানের দাবী।
by
Ekhane mufti ra likhechen, tar upore apnar fatwa na deyai valo. Jeta makruh setake makruh e bolte hobe,  haram bola jabena. Beshi abeg valo na 
by (2 points)
জাযাকাল্লাহু খাইরান

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...