ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ওয়াক্ত মত আদায় না করে পরবর্তী ওয়াক্তে বা পরবর্তীতে আদায়
করা কবিরাহ গুনাহ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ،
حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ أَبِي جَنَابٍ، عَنْ مَغْرَاءٍ الْعَبْدِيِّ، عَنْ عَدِيِّ
بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ
رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَمِعَ الْمُنَادِيَ فَلَمْ
يَمْنَعْهُ مِنَ اتِّبَاعِهِ عُذْرٌ " . قَالُوا وَمَا الْعُذْرُ قَالَ
خَوْفٌ أَوْ مَرَضٌ " لَمْ تُقْبَلْ مِنْهُ الصَّلَاةُ الَّتِي صَلَّى "
. قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَى عَنْ مَغْرَاءٍ أَبُو إِسْحَاقَ . صحيح
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মুয়াযযিনের আযান শুনা সত্ত্বেও
কোনরূপ ওজর ছাড়া (বিনা কারণে) জামা‘আতে সলাত আদায়ে বিরত থাকে তার অন্যত্র (একাকী)
সলাত কবুল হবে না। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, ওজর কি? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ
ভয়-ভীতি অথবা অসুস্থতা।
(আবু দাউদ ৫৫১.বায়হাক্বী ‘সুনানুল কুবরা’
(৩/৭৫), হাকিম
(১/পৃঃ ২৪৫), দারাকুতনী
(১/পৃঃ ৪২১)
★★শুধু জামা'আত ছেড়ে দেওয়ার কারনেই হাদীস শরীফে এমন কঠিন
বাক্য ব্যবহার হয়েছে,সুতরাং নামাজ কাজা করলে সেটি আরো বড় মারাত্মক
অপরাধ হবে।
অনেক ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নামাজ কাজা করা চুরি করা যেনা
করার চেয়েও মারাত্মক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَقِيقٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: كَانَ
أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَرَوْنَ شَيْئًا مِنَ
الأَعْمَالِ تَرْكُهُ كُفْرٌ غَيْرَ الصَّلاَةِ.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন শাকীক রহঃ বলেছেন, হুজুরে পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবাগণ কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফরী মনে করতেন
না শুধু নামায ব্যতীত। অর্থাৎ নামায ছেড়ে দেওয়াকে তারা কুফরীর প্রায় নিকটবর্তী কাজ
মনে করতেন। [সুনানে তিরমিজী,
হাদীস
নং-২৬২২]
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
হ্যাঁ, উক্ত
নামাজ সহীহ হয়ে গিয়েছে। আর পড়া লাগবে না। তবে যেহেতু উক্ত নামাজ তার ওয়াক্তে না পড়ে ফজরের ওয়াক্তে
পড়া হয়েছে তাই তা কাযা হিসেবে আদায় হবে।
আলেম ওলামাগণ বলেন কাযা ও আদায় উভয় শব্দ একই অর্থে। তাই আপনি তা আদায়ের নিয়তে আদায় করলেও তা কাযা হিসেবে
আদায় হয়ে যাবে।