ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/212 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ফিৎনার আশংকা না থাকলে সফরের দূরত্বের চেয়ে কম (অর্থাৎ তিনদিন তিনরাত দূরত্বের জায়গা অথবা ৭৭(এক বর্ণনায় ৮২.৫) কিলোমিটারের চেয়ে কম) দূরত্ব মহিলার জন্য মাহরাম ব্যতীত সফর করা বৈধ রয়েছে। শায়খাইন রাহ তথা ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,একদিন একরাত দূরত্বের জায়গা থেকে কম হলে তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ জায়গা হলে মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে।অন্যথায় পারবে না। বর্তমান এই ফিতনার যুগে নিম্নোক্ত মতামত-ই ফাতাওয়া তথা শরয়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য।তবে এখানেও ফিতনার আশঙ্কা না থাকা চাই।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(কিতাবুন-নাওয়াযিল;১৫/৪১৭)
https://www.ifatwa.info/13429 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পুরুষের জন্য যেভাবে গাড়ি চালানো জায়েয ঠিকতেমনি ভাবে নারীদের জন্যও মূলত গাড়ী চালানো জায়েয় হওয়ার কথা। তবে পর্দা রক্ষার্থে ফুকাহায়ে কেরাম এ সিদ্ধান্তে দেন যে, নারীদের জন্য গাড়ী চালানো নাজায়েয হওয়াই উচিৎ।কেননা এতে অনেক প্রকারের গোনাহ থেকে নিজেকে বাঁচানো যাবে।
তাছাড়া বাইকে নিজ মাহরামের পিছনে বসাও জায়েয হবে না। কেননা এতে মাহরামের সাথে শরীরের এমন অংশের স্পর্শ হতে পারে, যার স্পর্শ কখনো জায়েয় নয় এবং পর্দার খেলাপও হতে পারে।এবং নিজ স্বামীর সাথে বাইকের পিছনে বসাও পর্দার খেলাপ হওয়ায় নিষিদ্ধের আওতাধীন হবে।
যদি কেউ দ্বিতীয় স্থর বা তৃতীয় স্থরের পর্দার দিকে মজবুর হয়ে যায়,তাহলে সে সময় মহিলার জন্য পর্দার সাথে গাড়ী চালানোর রুখসত হবে।যদি ফিতনার আশংকা না থাকে।