بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/28648/ আমরা উল্লেখ করেছি
যে, লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন
ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা
মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু
দাউদ, হাদীস
১৪৬৮
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের তিলাওয়াতকারী
বা হাফেজকে বলা হবে-
اقْرَأْ، وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ
فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا.
তিলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। ধীরে ধীরে তিলাওয়াত কর, যেভাবে ধীরে ধীরে
দুনিয়াতে তিলাওয়াত করতে। তোমার অবস্থান হবে সর্বশেষ আয়াতের স্থলে যা তুমি তিলাওয়াত
করতে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৪; জামে
তিরমিযী, হাদীস ২৯১৪
নামাজের কেরাতে অর্থ বিকৃত হয়ে যায়, এমন ভুল পড়লে নামাজ
নষ্ট হয়ে যাবে। চাই তা তিন আয়াত পরিমাণের ভেতর হোক বা পরে হোক- সর্বাবস্থায় একই হুকুম।পক্ষান্তরে
সাধারণ ভুল- যার দ্বারা অর্থ একেবারে বিগড়ে যায় না, তাতে নামাজ
নষ্ট হবে না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১১৮, ফাতাওয়া কাজিখান ১/৬৭)
কিন্তু সুরা-কেরাত ও নামাজের তাসবিহ ইত্যাদি শুদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত
নামাজ ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি নেই। সুরা-কেরাতও শুদ্ধ করতে থাকবে এবং নামাজও আদায় করতে
থাকবে, তবে এ
ধরনের লোকেরা শুদ্ধ পাঠকারী ব্যক্তির ইমামতি করবে না।(হিদায়া ১/৫৮, জাওয়াহিরুল ফিকহ ১/৩৩৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নেলিখিত ছুরতে ইচ্ছাকৃতভাবে এক হরফের জায়গায় অন্য হরফ উচ্চারণ
করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা এতে শব্দের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
বিধায় তেলাওয়াতের ব্যাপারে খুব বেশী যত্নশীল হতে হবে। যার ক্বেরাত সহিহ না তার জন্য
আবশ্যক হলো, বিশুদ্ধ ক্বেরাত জানে এমন ব্যক্তির থেকে তেলাওয়াত সহিহ করে নিবে।