আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
162 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)

সুরা ফাতেহা এর

১. প্রথম আয়াতের ٱلْعَٰلَمِينَ এখানে( ع ) এর বদলে ( ا )পড়ি তাহলে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে?

২. চতুর্থ আয়াতের نَعْبُدُ এ( ع ) এর বদলে( ا ) পড়লে কি নামাজ নষ্ট হবে?

৩ চতুর্থ আয়াতের نَسْتَعِينُ এ( ع ) এর বদলে ( ا ) পড়লে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে?

৪ পঞ্চম আয়াতের ٱلْمُسْتَقِيمَ এ( ق ) এর বদলে ( ك ) পড়লে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে?

৬. ষষ্ঠ আয়াতের ٱلَّذِينَ এ ( ذ ) এর বদলে ( ز ) পড়লে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে

7. ষষ্ঠ আয়াতের أَنْعَمْتَ এ ( ع ) এর বদলে  ( ا )  পড়লে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে ?

৮. ষষ্ঠ আয়াতের عَلَيْهِمْ এ ( ع ) এর বদলে ( ا ) পড়লে কি নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/28648/ আমরা উল্লেখ করেছি যে, লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا

কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

زينوا القرآن بأصواتكم

সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

 

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের দিন) কুরআনের তিলাওয়াতকারী বা হাফেজকে বলা হবে-

اقْرَأْ، وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا.

তিলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে থাক। ধীরে ধীরে তিলাওয়াত কর, যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে তিলাওয়াত করতে। তোমার অবস্থান হবে সর্বশেষ আয়াতের স্থলে যা তুমি তিলাওয়াত করতে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯১৪

নামাজের কেরাতে অর্থ বিকৃত হয়ে যায়, এমন ভুল পড়লে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। চাই তা তিন আয়াত পরিমাণের ভেতর হোক বা পরে হোক- সর্বাবস্থায় একই হুকুম।পক্ষান্তরে সাধারণ ভুল- যার দ্বারা অর্থ একেবারে বিগড়ে যায় না, তাতে নামাজ নষ্ট হবে না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১১৮, ফাতাওয়া কাজিখান ১/৬৭)

কিন্তু সুরা-কেরাত ও নামাজের তাসবিহ ইত্যাদি শুদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত নামাজ ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি নেই। সুরা-কেরাতও শুদ্ধ করতে থাকবে এবং নামাজও আদায় করতে থাকবে, তবে এ ধরনের লোকেরা শুদ্ধ পাঠকারী ব্যক্তির ইমামতি করবে না।(হিদায়া ১/৫৮, জাওয়াহিরুল ফিকহ ১/৩৩৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নেলিখিত ছুরতে ইচ্ছাকৃতভাবে এক হরফের জায়গায় অন্য হরফ উচ্চারণ করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা এতে শব্দের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। বিধায় তেলাওয়াতের ব্যাপারে খুব বেশী যত্নশীল হতে হবে। যার ক্বেরাত সহিহ না তার জন্য আবশ্যক হলো, বিশুদ্ধ ক্বেরাত জানে এমন ব্যক্তির থেকে তেলাওয়াত সহিহ করে নিবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...