আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
1,472 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামুয়ালাইকুম
পর্দানশীন অবিবাহিত মেয়ে যদি তার নিজের সন্তুষ্টির জন্য চুল কাটে তাহলে কি তা জায়েজ হবে

1 Answer

0 votes
by (683,010 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ

মহিলাদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হলঃ
  • ১. মহিলারা চুল লম্বা রাখবে।হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন রা. চুল লম্বা রাখতেন। 
  • ২. এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে।
لعن ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬَﺎﺕِ ﺑِﺎﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬِﻴﻦَ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝ 
নবীজী সাঃ পুরুষ সাদৃশ্য গ্রহণকারী মহিলাদেরকে এবং মহিলা সাদৃশ্য গ্রহণকারী পুরুষদেরকে লা'নত প্রদান করেছেন(সহীহ বুখারী-৫৮৮৫)
  • ৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
নবীজী সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি যে জাতীর অনুকরণ করবে, সে তাদের-ই দলভুক্ত হবে।(সহীহ বুখারী-৪০৩১)

অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না, এবং পুরুষ বা বিজাতীয়দের অনুকরণের ইচ্ছাও নেই, তাহলে তার জন্য প্রয়োজনে ঐ সামান্য পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটারও অনুমোদন নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরতবশতঃ মুন্ডানোরও অনুমোদন রয়েছে। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরী। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল কাটতে পারবে।
জ্ঞাতব্য যে,নয় বৎসর বয়স থেকে চুল রাখা জরুরী,কেননা নয় বছর বয়স থেকেই মহিলার মধ্যে পুরুষ আকৃষ্টকারী অবয়ব সৃষ্টি হয়ে যায়,এবং তখন থেকেই মূলত পর্দা জরুরী হয়ে যায়।

এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণের নিমিত্তে যতসামান্য চুল কাটাও কখনো জায়েয হবে না।কেননা হাদীসে এসেছে,
'যে ব্যক্তি যে জাতীর অনুসরণ করবে,সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।'

সুতরাং কেউ যদি এমনিতেই সৌন্দর্য গ্রহণের জন্য সামান্য চুল কর্তন করে নেয়, তাহলে আশা করা যায়, সেটা হারাম হবে না।

মেয়েদের সাজসজ্জা গ্রহণের মূলনীতি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন466

مأخَذُ الفَتوی
فی مشكاة المصابيح : و عن ابن عباس قال : لعن الله المخنثين من الرجال و المترجلات من النساء و قال: «أخرجوهم من بيوتكم» . رواه البخاري(2/ 1262)-
و فیہ ایضاً : و عنه قال : قال النبي صلى الله عليه و سلم : «لعن الله المتشبهين من الرجال بالنساء و المتشبهات من النساء بالرجال» . رواه البخاري(2/ 1262)-
و فیہ ایضاً : عن علي و عائشة رضي الله عنهما قالا : نهى رسول الله صلى الله عليه و سلم أن تحلق المرأة رأسها . رواه الترمذي(2/ 813)-
و فیہ ایضاً : و عن علي قال : نهى رسول الله صلى الله عليه و سلم أن تحلق المرأة رأسها . رواه النسائي(2/ 1271)-
و فی البحر الرائق شرح كنز الدقائق و منحة الخالق و تكملة الطوري: و إذا حلقت المرأة شعر رأسها فإن كان لوجع أصابها فلا بأس به و إن حلقت تشبه الرجال فهو مكروه(8/ 233)-
و فی الفتاوى الهندية : و لو حلقت المرأة رأسها فإن فعلت لوجع أصابها لا بأس به و إن فعلت ذلك تشبها بالرجل فهو مكروه كذا في الكبرى . (5/ 358)-

وفى ردالمحتار مع الدر المختار
قطعت شعر  رأسها أثمت ولعنت زاد في البزازية وإن بإذن الزوج لأنه لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق، ولذا يحرم على الرجل قطع لحيته، والمعنى المؤثر التشبه بالرجال اهـ
(قوله والمعنى المؤثر) أي العلة المؤثرة في إثمها التشبه بالرجال فإنه لا يجوز كالتشبه بالنساء حتى قال في المجتبى رامزا: يكره غزل الرجل على هيئة غزل النساء (ردالمحتار،ج:٦،ص:٤٠٧)

وقد ذكر العلائي في الدر المختار من الحظر والإباحة عن المجتبى والبزازية إذا قطعت شعر  رأسها أثمت ولعنت وإن بإذن الزوج؛ لأنه «لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق» ولذا يحرم للرجل قطع لحيته والمعنى المؤثر التشبه بالرجال اه- (العقود الدريةـج:١،ص:٣٢٩)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (0 points)
আসসালামু আলাইকুম,  স্বামীর পছন্দের কারনে কি পিছনে যথাসম্ভব বড় রেখেই বিভিন্ন কাটিং কি দেয়া যাবে।! 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...