জবাবঃ-
মহিলাদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হলঃ
- ১. মহিলারা চুল লম্বা রাখবে।হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন রা. চুল লম্বা রাখতেন।
- ২. এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে।
لعن ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬَﺎﺕِ ﺑِﺎﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬِﻴﻦَ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝ
নবীজী সাঃ পুরুষ সাদৃশ্য গ্রহণকারী মহিলাদেরকে এবং মহিলা সাদৃশ্য গ্রহণকারী পুরুষদেরকে লা'নত প্রদান করেছেন(সহীহ বুখারী-৫৮৮৫)
- ৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
নবীজী সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি যে জাতীর অনুকরণ করবে, সে তাদের-ই দলভুক্ত হবে।(সহীহ বুখারী-৪০৩১)
অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরতবশতঃ কামানোরও অনুমতি রয়েছে। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল কাটতে পারবে
এবং নয় বৎসর বয়স থেকে চুল রাখা জরুরী,কেননা নয় বছর বয়স থেকেই মহিলার মধ্যে পুরুষ আকৃষ্টকারী অবয়ব সৃষ্টি হয়ে যায়,এবং তখন থেকেই পর্দা জরুরী হয়ে যায়।
সুতরাং
বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণের নিমিত্তে চুল কাটা কখনো জায়েয হবে না।কেননা হাদীসে এসেছে,
'যে ব্যক্তি যে জাতীর অনুসরণ করবে,সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।'কিন্তু যদি সে এমনিতেই সৌন্দর্য গ্রহণের জন্য সামান্য চুল কর্তন করে,তাহলে সেটা হারাম হবে না।