জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো মা যদি তার নানির আগেই মারা যায়,তাহলে নানি মারা যাওয়ার পর সেই নাতী ওয়ারিশ হবেনা।
সে আহলে ফারায়েজের অন্তর্ভুক্ত নয়।
বিধায় প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নাতীরা তার নানী থেকে কোনো সম্পদই পাবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
لا تدرون ايهم اقرب لكم نفعا فريضة من الله ان الله كان عليما حكيما
অর্থাৎ, “তোমরা জানো না তাদের কে কে উপকারের দিক দিয়ে তোমাদের বেশী নিকটবর্তী। এসব অংশ আল্লাহ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আর আল্লাহ অবশ্যী সকল সত্য জানেন এবং সকল কল্যানময় ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন।” (নিসা ১১)
,
মীরাছের বিধান উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন :
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ * وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ
অর্থ : এইসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরন করবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত। তারা সেখানে স্থায়ী হবে এবং এটা মহা সাফল্য। আর যে আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হবে এবং নির্ধারিত সীমাকে লঙ্ঘন করবে তাকে দোযখে নিক্ষেপ করবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং সেখানে তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি। সূরা নিসা-১৩-১৪
আল্লাহ তাআলা ওয়ারিশদের প্রত্যেকের অংশ নির্ধারন করে দিয়েছেন অতপর সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই বন্টন না মেনে নিজ থেকে করলে আল্লাহর দেওয়া সীমা লঙ্ঘনের ফলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
,
★মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে মৃত ছেলের সন্তানাদী কোনো সম্পদ পাবেনা।
,
সহীহ বুখারীতে হযরত যায়েদ বিন সাবেত রা. এর ফাতওয়া উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন-
ولا يرث ولد الابن مع الابن
অর্থ : ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি কোন মীরাস পাবে না। (সহীহ বুখারী ২/৯৯৭)
★সুতরাং মাইয়্যিতের মেয়ের মেয়ে কোনো ভাবেই সম্পদ পাবেনা।