আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (53 points)
১.মসজিদের দানবক্সে টাকা দান করলে সেটা কি সাদাকাহ হিসেবে দেওয়া হবে?

২.সাধারণত যারা রাস্তায় কিংবা বাসায় এসে সাহায্য চায় তাদেরকে দেওয়া টাকা অথবা চাল সেটা কি সাদাকাহ?

৩.আমার বাসায় একটা বিড়াল আসে এমনিতেই। পোষ মানেনি,থাকে থাকে না এরকম। এই বিড়ালকে কোনো খাবার দিলে কি সেটা সাদাকাহ হবে?
খাবার না দিতে পারলে কি গুনাহ হবে? (এই বিড়াল অন্য বিড়াল যা খায় অনেকক্ষেত্রেই খায় না,,মাঝেমাঝে পুরো নিরামিষ হয় বাসায়,ভাত খায় না)

৪.সাদাকাহ কাদেরকে দেওয়া উত্তম?

৫.কোথাও কেবলমাত্র একজন মেয়েই যদি পরিপূর্ণ পর্দা করে,সেখানে সবাই তাকে আলাদাভাবে তাকিয়ে দেখে,,এক্ষেত্রে কি তার পর্দা বিঘ্নিত হবে?

সে পর্দাই করছে কিন্তু পর্দা তাকে আলাদা করে দিচ্ছে সবার থেকে,যার ফলে সবার নজরে পড়ে যাচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by
              بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,

হাদীস শরীফে এসেছে,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْد ٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي وَأَنَا مَرِيضٌ بِمَكَّةَ، فَقُلْتُ لِي مَالٌ أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ قَالَ " لاَ ". قُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ " لاَ ". قُلْتُ فَالثُّلُثُ قَالَ " الثُّلُثُ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، أَنْ تَدَعَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً، يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ فِي أَيْدِيهِمْ، وَمَهْمَا أَنْفَقْتَ فَهُوَ لَكَ صَدَقَةٌ حَتَّى اللُّقْمَةَ تَرْفَعُهَا فِي فِي امْرَأَتِكَ، وَلَعَلَّ اللَّهَ يَرْفَعُكَ، يَنْتَفِعُ بِكَ نَاسٌ وَيُضَرُّ بِكَ آخَرُونَ ".

মুহাম্মদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মক্কায় রোগগ্রস্ত হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পরিচর্যার জন্য আসতেন। আমি বললাম, আমার তো মাল আছে। সেগুলো সব আমি ওসিয়্যাত করে যাই? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ তাহলে অর্ধেক? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ তবে এক-তৃতীয়াংশ? তিনি বললেনঃ এক-তূতীয়াংশ করতে পার। এক-তৃতীয়াংশই বেশী। মানুষের কাছে হাত পেতে ফিরবে ও এরূপ ফকীর অবস্থায় ছেড়ে যাওয়ার তুলনায় তাদেরকে ধনী অবস্থায় রেখে যাওয়া উত্তম। আর যাই তুমি খরচ করবে, তা-ই তোমার জন্য স্বাদকা হবে। এমনকি যে লোকমাটি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে তাও। আল্লাহ তোমাকে দীর্ঘজীবী করবেন এই আশা। তোমার দ্বারা অনেক লোক উপকৃত হবে, আবার অন্যেরা (কাফির সম্প্রদায়) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।(বুখারী ৪৯৬৩
অপর এক হাদীসে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ الأَنْصَارِيَّ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، فَقُلْتُ عَنِ النَّبِيِّ فَقَالَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَنْفَقَ الْمُسْلِمُ نَفَقَةً عَلَى أَهْلِهِ وَهْوَ يَحْتَسِبُهَا، كَانَتْ لَهُ صَدَقَةً ".
আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাবী বলেনঃ আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ এ কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে? তিনি বললেন, (হাঁ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ সাওয়াবের আশায় কোন মুসলিম যখন তার পরিববার-পরিজনের জন্য খরচ করে, তা তার সাদাকায় পরিগণিত হয়।
(বুখারী ৪৯৬০)

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
১'২,৩  ছওয়াবের নিয়তে খরচ করলে প্রশ্নে উল্লেখিত সকল ছুরতেই আপনি হাদীসে বর্ণিত সাদাকাহ এর ছওয়াব পাবেন,ইনশাআল্লাহ।  
৪.অসহায়,দরিদ্র, এতিম,মিসকিন সুবিধাবঞ্চিত ইত্যাদি শ্রেণির মানুষকে সদকা করার কথা হাদীসের এসেছে।এছাড়া আপনি বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানেও দান খয়রাত করতে পারেন যার সাওয়াব আপনি  পরকালে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। 
৫.যদি ঐ বোন পরিপূর্ণ রুপে পর্দা করেন এবং তার শরীরের কোন অংশ পরপুরুষ দেখতে না পায় তাহলে সবাই তার দিকে তাকিয়ে তাকালেও কোন গুনাহ হবে না।

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...